ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) অধিভুক্ত রাজধানীর সরকারি সাত কলেজের ৫২ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করেছে প্রশাসন। পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন ও অন্যান্য অপরাধের দায়ে তাদের বহিষ্কার করা হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা পরিষদের সভায় এসব শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়। পরবর্তীতে ২৯ সেপ্টেম্বর নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে সিন্ডিকেটের সভায় বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বহিষ্কৃত এসব শিক্ষার্থীদের তালিকা চলতি মাসেই সংশ্লিষ্ট কলেজে পাঠাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পরবর্তীতে কলেজের সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে শিক্ষার্থীদের জানানো হবে।

জানা গেছে, অপরাধ বিবেচনায় সাত কলেজের ৮ শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে এবং ৪৪ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়েছে। অস্থায়ী বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ করা পরীক্ষাও বাতিল করা হয়েছে। এছাড়াও শাস্তিস্বরূপ আরও ১, ২, অথবা ৩ বছর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হবে না তাদের।

সংশ্লিষ্ট সূত্রটি জানায়, স্থায়ীভাবে বহিষ্কৃত ৮ শিক্ষার্থীর মধ্যে সরকারি বাঙলা কলেজের ৫ জন ও ঢাকা কলেজের ৩ শিক্ষার্থী রয়েছেন। এছাড়াও বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কৃত ৪৪ শিক্ষার্থীর মধ্যে ইডেন মহিলা কলেজের ১২ জন, সরকারি তিতুমীর কলেজের ১২, সরকারি বাঙলা কলেজের ৯, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের ৬, কবি নজরুল সরকারি কলেজের ৪ ও ঢাকা কলেজের ১ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন।

এ বিষয়ে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ ও সাত কলেজের সমন্বয়ক অধ্যাপক আইকে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার ঢাকা পোস্টকে বলেন, শৃঙ্খলা পরিষদের সভার পরামর্শ অনুযায়ী সিন্ডিকেট এ সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। শিক্ষার্থীরা শাস্তি কমানোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নিকট যথাযথ পদ্ধতিতে আবেদন করতে পারবেন। বিশ্ববিদ্যালয় সেটা বিবেচনা করবে। আমরাও চাই পরীক্ষায় সুষ্ঠু ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশ বজায় থাকুক৷

উল্লেখ্য, অপরাধের জন্য অনুতপ্ত হয়ে কোনো শিক্ষার্থী উপাচার্য বরাবর শাস্তি হ্রাসের আবেদন করলে উপাচার্য বিশেষ বিবেচনায় শাস্তি এক বছর হ্রাস করতে পারবেন।

আরএইচটি/এসকেডি