জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ২০১৬-১৭ ব্যাচের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের এক ছাত্রীকে মেসে আটকে মারধর ও পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে ডেকে এনে ধর্ষণের হুমকির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ অভিযোগে ভুক্তভোগী ছাত্রী তার বিভাগের চেয়ারম্যানের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর একটি অভিযোগপত্র দিয়েছেন।

অভিযোগপত্রে ওই ছাত্রী বলেন, দীর্ঘ চার মাস ধরে বিভিন্নভাবে আমাকে রাজনৈতিক ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। এমনকি চড় থাপ্পড়সহ আমার ওপর শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়েছে। অবশেষে ছাত্রলীগের নেতা দিয়ে আমাকে ধর্ষণ ও গুম করার হুমকি দেওয়া হয়। ক্যাম্পাসে আটকে রেখে এর ভিডিও ধারণ করা হয়েছে।

জবির ওই ছাত্রী যার বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ এনেছেন, তিনি অর্থনীতি বিভাগের দশম ব্যাচের ছাত্রী ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির সদস্য। ধর্ষণের হুমকির অভিযোগ যার বিরুদ্ধে আনা হয়েছে, তিনি মনোবিজ্ঞান বিভাগের দশম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও মনোবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।

অভিযোগকারী শিক্ষার্থীর কাছে বিস্তারিত জানতে চাইলে বলেন, আমাকে মেসের তুচ্ছ ঘটনায় চড় মারেন ওই আপু। পরে আমাকে রাজনৈতিকভাবে ভয় দেখানো হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হলের সিট তিনি বাকি ছাত্রীদের দেবেন বলেও জানান। মেসে মারধরের ঘটনার পরের দিন ক্যাম্পাসে গিয়ে আমি ভয়ে মাফ চাইলেও আমার সঙ্গে তিনি খারাপ ব্যবহার করেন। এছাড়া তার সঙ্গে থাকা ওই ছাত্রলীগ নেতা আমাকে ধর্ষণ করার হুমকি দেন। আমি নিরাপত্তাহীনতায় এ অভিযোগ করেছি।

এদিকে, এ অভিযোগের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করে ছাত্রলীগের ওই নেত্রী বলেন, সে রাতে পাঁচ-ছয়জন পুরুষ এনে আমাকেসহ সবাইকে অকথ্য ভাষায় হুমকি দেয়। রাতে মেয়েদের পোশাক কেমন থাকে সবাই জানে। এটা আমাদের জন্য খুবই বিব্রতকর। মেসের কোনো সদস্য তার পক্ষে নেই। তার বিরুদ্ধে মেস ব্যবসার অভিযোগ আছে।

ওই ছাত্রলীগ নেতা বলেন, আমি কাউকে কোনো হুমকি দিইনি। আমাকে কেন টানল বুঝতে পারছি না। তবে শুনেছি মেয়েটি মেস ব্যবসায়ী। সে বাইরের একটি ছেলেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে এনে আমাকে হুমকি দিয়েছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল বলেন, আমি একপক্ষের অভিযোগ পেয়েছি। তবে ঘটনাটি ক্যাম্পাসের বাইরের। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ পরিচালকের সঙ্গে কথা বলতে বলেছি।
 
এমটি/আরএইচ