রাবির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রথম ফলাফলে পাস আসলেও পরে সংশোধিত ফলে অকৃতকার্য আসে

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ২০২০-২১ সেশনের ভর্তি পরীক্ষার ‘বি’ ইউনিটের প্রকাশিত ফলাফল নিয়ে উৎকণ্ঠা আর বিতর্ক শুরু হয়েছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে, আংশিক ত্রুটি ছিল; তা সংশোধন করা হয়েছে।

জানা গেছে, সোমবার রাত ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে এই ফল প্রকাশ করা হয়। কিন্তু দেড় হাজারের বেশি শিক্ষার্থীকে অনুপস্থিত দেখিয়ে ফল প্রকাশ হলে সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। পরে মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) সকালে ওয়েবসাইট থেকে তা সরিয়ে নেওয়া হয়।

পরে দুপুরে ইউনিটটির ফল সংশোধন করে পুনরায় প্রকাশ করা হয়। কিন্তু সংশোধিত ফলে মেধাক্রম পরিবর্তনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। রাতে প্রকাশিত ফলে ৬২ দশমিক ৩০ নম্বর পাওয়া শিক্ষার্থী দুপুরের ফলাফল সংশোধনের পর পেয়েছে ৫৩ দশমিক ৩০ নম্বর। এতে মেধাক্রমের বিশাল পরিবর্তন হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে দেখা যায়, অবাণিজ্য থেকে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া গ্রুপ-২ এর একজন ভর্তিচ্ছু আবু তাহের হোসেনের প্রথমে ফলাফল আসে ৬২ দশমিক ৩০। এতে তার মেধাক্রম হয় ৮২০তম। পরবর্তীতে দুপুরের সংশোধিত ফলাফল প্রকাশ হলে তার প্রাপ্ত নম্বর দেখায় ৫৩ দশমিক ৩০ ও মেধাক্রম হয় ১ হাজার ৭৮৮তম। 

আরও দেখা যায়, ইমু সাহা নামের একজন ছাত্রী প্রথমে ৮০ দশমিক ৩০ নম্বর পেয়ে ২৩তম হোন। পরে সংশোধিত ফলাফলে তার প্রাপ্ত নম্বর দেখায় ৪৯ দশমিক ৬০ এবং মেধাক্রম আসে ২ হাজার ২০৫।

আরেক ভর্তিচ্ছু নাহিদা আক্তার মিতু জানান, সকালে ১০টা পর্যন্ত আমার পজিশন ১১৬, স্কোর ৬৪.৯৫ ছিল। পরে বি ইউনিটের ফলাফল সংশোধিত হলে এখন স্কোর দেখাচ্ছে ৩১.৪০, পজিশন অকৃতকার্য। নিমিষেই বাঁধভাঙা আনন্দকে কষ্টের সাগরে ভাসিয়ে দিল। এটা নিজেই মেনে নিতে পারতেছি না।

এ বিষয়ে বি ইউনিটের চিফ-কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক জিন্নাত আরা বলেন, একটা অংশের রেজাল্ট ইন্ডেক্সিংযে কিছু ত্রুটি দেখা গিয়েছিল। আমরা সেটা সংশোধন করে প্রকাশ করেছি। এটাই ফাইনাল। এখন কিছু ভর্তিচ্ছু যাদের রেজাল্ট পরিবর্তন হয়েছে তারা যদি দেখতে চায়, আমরা তাদের ওএমআর শিট বের করে সব ডকুমেন্টস রেখেছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক বাবুল ইসলাম বলেন, আগের ফলাফলের ইনডেক্সে সমস্যা হয়েছিল। তাই তখন তাদের ফলাফল ভুলভাবে দেখানো হয়েছে। এখন সঠিকভাবে ইনডেক্স করার পর তাদের প্রাপ্ত নম্বর দেখানো হচ্ছে। ফলে মেধাক্রম পরিবর্তন হয়েছে। এখন আপডেট রেজাল্টই দেখানো হচ্ছে। সেটাই চূড়ান্ত।

উল্লেখ্য, ৬ অক্টোবর ৩ শিফটে বি ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ৩১ হাজার ৫১৭ জন ভর্তিচ্ছু অংশ নেন। সোমবার রাতের  ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ফলাফল ছিল ভুলেভরা। অনেক শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেওয়ার পরও তাদের অনুপস্থিত দেখানো হয়েছে।

মেশকাত মিশু/এমএসআর