ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দেশরত্ন শেখ হাসিনা হল ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের ছাত্রীদের ৩০টি মিল খাওয়া বাধ্যতামূলক করেছে হল কর্তৃপক্ষ। ফলে এক মাসে ৩০টি মিল না খেলেও পরিশোধ করতে হবে ৩০টি মিলের টাকা। হল বডির ৪০তম সাধারণ সভার ৫নং প্রস্তাবের আলোকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরীন ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. নিলুফা আক্তার বানু স্বাক্ষরিত এক নোটিশে এসব তথ্য জানা যায়।

নোটিশে বলা হয়, হলের আবাসিক ছাত্রীদের কমপক্ষে ৩০টি মিল (সকালের নাস্তা বাদে) ডাইনিংয়ে গ্রহণ করতে হবে। কেউ যদি ৩০টি মিল গ্রহণ না করে তাকেও গুনতে হবে ৩০টি মিলের টাকা। দুই হলে আজ থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, খাবারের মান ভালো না হওয়ায় অনেকে খেতে পারেন না। দিনে অনেক ছাত্রী বাইরে খাওয়া-দাওয়া করেন। তবে রাতে বের হতে না পারায় তারা হলে রান্না করে খান।

দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ফারিয়া বলেন, মেসের নিয়মে হল চলতে পারে না। হলের ডাইনিংয়ে খাবারের মান ভালো না। মোটা ভাতের কারণে খেতে কষ্ট হয়। এ কারণে নিজেরা রান্না করে খাই। হলে খাবার খেতে হলে ভালো মানের খাবার দিতে হবে।

এ বিষয়ে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. নিলুফা আক্তার বানু বলেন, আমার হলে আবাসিক ছাত্রী আছে প্রায় ২৫০ জন। কিন্তু হলের ডাইনিংয়ে খাবার খায় ২৫-৩০ জন। মিলের সংখ্যা কম হওয়ায় ডাইনিংয়ের ম্যানেজার ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে বলে আমাকে অবহিত করেছে। 

তিনি বলেন, হলে হিটার চালানো নিষিদ্ধ হলেও মেয়েরা গোপনে হিটারে রান্না করে খায়। এজন্য তারা ডাইনিংয়ে খেতে আসে না। আমরা চেয়েছি প্রত্যেক শিক্ষার্থী যেন মাসে ৩০টা মিল খায়। তাহলে ডাইনিংয়ে খাবারের মান ভালো দিতে পারবে তারা।

রাকিব হোসেন/এসএসএইচ