পূজামণ্ডপে হামলা, ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনার তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন।

বুধবার (২৭ অক্টোবর) সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. ফরিদা ইয়াসমিন বারী এবং মহাসচিব অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, সম্প্রতি কুমিল্লার একটি পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন অবমাননার ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বাধীনতাবিরোধী প্রতিক্রিয়াশীল রাজনৈতিক চক্র কর্তৃক সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের অপতৎপরতার অংশ হিসেবে দেশের বিভিন্ন স্থানে পূজামণ্ডপ, প্রতিমা, মন্দির, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাংচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, কুমিল্লার ঘটনাকে কেন্দ্র করে, চাঁদপুর, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, রংপুরসহ দেশের প্রায় ১৫টি জেলায় সাম্প্রদায়িক হামলা ও সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে।

এতে আরও বলা হয়, জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে করোনা অতিমারি মোকাবিলা করে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের অগ্রগতি জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যখন প্রশংসিত হচ্ছে, ঠিক তখনই অতীতের মতো স্বাধীনতা বিরোধী ষড়যন্ত্রকারীরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির মাধ্যমে রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল করতে তৎপর রয়েছে। এই অপশক্তির মূল লক্ষ্যই হলো দেশের বিদ্যমান সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠনে দেশরত্ন শেখ হাসিনার অক্লান্ত প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করা।

শাস্তির দাবি জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন অনতিবিলম্বে এ ঘৃণ্য অপরাধের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতপূর্বক সকল ধরনের ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দেশের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পথ সুগম করার জন্য সরকারের কাছে জোরালো দাবি জানাচ্ছে।

এইচআর/এসকেডি