রাজধানীর মানিকনগর পুকুরপাড় কলোনি থেকে ঢাকা কলেজ কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষা দিতে এসেছেন সাদিয়া আক্তার। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় আসতে হয়েছে রিকশায়। নিয়মিত ভাড়া ৬০ টাকা হলেও তাকে গুনতে হয়েছে ১৮০ টাকা।

শনিবার (৬ নভেম্বর) সকালে ঢাকা কলেজ ও ইডেন মহিলা কলেজ কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা বেশিরভাগ শিক্ষার্থীকেই বাড়তি ভাড়া দিয়ে আসতে হয়েছে। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে দুই থেকে তিন গুণ পর্যন্ত অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে পথে পথে দুর্ভোগের তথ্য পাওয়া গেছে। ধর্মঘট চলাকালে পরীক্ষা স্থগিত না করায় অনেক পরীক্ষার্থী ক্ষোভও প্রকাশ করেন।

রাশেদুল ইসলাম নামের এক পরীক্ষার্থী বলেন, আজ আমার সরকারি সাত কলেজের স্নাতক শ্রেণির বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা। রাস্তায় গাড়ি চলাচল না করায় আমাকে ৫০ টাকার ভাড়া ১৫০ টাকা দিতে হয়েছে। তবু আমার ভয় ছিল পরীক্ষাকেন্দ্রে যথা সময় আসতে পারব কি না।

যাত্রাবাড়ী থেকে পরীক্ষাকেন্দ্রে মেয়েকে নিয়ে আসা আরিফুর রহমান নামের এক অভিভাবক বলেন, আজ ধর্মঘট এ কথা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানে। তবু পরীক্ষা স্থগিত করেনি। কেন্দ্রে উপস্থিত হতে আমাদের অনেক কষ্ট ও দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। ভোরে মেয়েকে নিয়ে কেন্দ্রের উদ্দেশ্যে বেরিয়েছি। যাত্রাবাড়ী থেকে বাসে করে এখানে আসতে লাগত ১০ টাকা। কিন্তু রিকশায় ভাড়া লেগেছে ২০০ টাকা।

তবে রিকশাচালকরা বলছেন, অতিরিক্ত ভাড়া নয়, ন্যায্য ভাড়াই নিচ্ছেন তারা। আব্দুস সালাম নামের এক রিকশাচালক বলেন, এখন চাহিদা বেশি। তাই কিছুটা বাড়তি ভাড়া নিচ্ছি। জিনিসপত্রের যা দাম, আমাদেরও তো খেয়ে-পরে বাঁচতে হবে।

আবুল হোসেন নামের আরেক রিকশাচালক বলেন, মামা আজ চাহিদাও বেশি, তাই ভাড়াও বেশি। বাস চলাচল শুরু হলে তো এমনটা আর পাব না।

শুক্রবারও (৫ নভেম্বর) পরিবহন ধর্মঘটের মধ্যে সাত কলেজের বাণিজ্য ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ এছাড়া আগামী ১৩ নভেম্বর কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

আরএইচটি/এসএসএইচ