শেষ হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত রাজধানীর সাতটি সরকারি কলেজের স্নাতক শ্রেণির বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা। 

শনিবার (৬ নভেম্বর) সকাল দশটা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষায় ঢাকা কলেজ কেন্দ্রে ৩৪৫৭ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেওয়ার কথা থাকলেও অংশ নিয়েছেন ২৩৪৫ জন পরীক্ষার্থী। অর্থ্যাৎ ১১১৩ জন পরীক্ষার্থীই অনুপস্থিত। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আইকে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার।

তিনি বলেন, ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় প্রস্তুতি আমরা নিয়েছিলাম। আমাদের এ কেন্দ্রে তিন হাজার চারশর কিছু বেশি পরীক্ষার্থীর ব্যবস্থাপনা ছিল। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ছাড়াই পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি ও স্বাস্থ্যসুরক্ষা নিশ্চিতে পুরো ক্যাম্পাস জুড়ে আসন বিন্যাস করা হয়েছিল। শুধু আমাদের কেন্দ্রেই নয় বরং অন্যান্য কেন্দ্রেও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতির কথা শুনতে পাইনি।

এরআগে ঢাকা কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শনের সময় ধর্মঘট চলাকালীন পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়টি কতটুকু যৌক্তিক এমন প্রশ্নের উত্তরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) ও সাত কলেজের প্রধান সমন্বয়ক অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, ধর্মঘটের কোনো প্রভাব পরীক্ষার মধ্যে পড়ছে বলে আমার মনে হয় না। গতকালের পরীক্ষায়ও ৭৩ শতাংশ পরীক্ষার্থী উপস্থিত ছিল। আজকেও আশাকরি এরকম উপস্থিতি থাকবে। 

তবে পরীক্ষা দিয়ে বের হওয়ার সময় অনেক শিক্ষার্থীই অভিযোগ করেন, গণপরিবহন বন্ধ থাকায় সাত কলেজে ভর্তির আবেদন করেও দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে অনেক ভর্তিচ্ছুই ঢাকায় আসতেই পারেনি।

নিজামুল ইসলাম নামের এক পরীক্ষার্থীর বলেন, আমি এবং আমার বোন দু’জনই সাত কলেজের বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার জন্য আবেদন করেছিলাম। আমি ঢাকায় মেসে থাকার কারণে আসতে পেরেছি, আমার বোন গ্রাম থেকে ঢাকায় আসতেই পারেনি। এরকম অসংখ্য শিক্ষার্থী রয়েছে, যারা এ ধর্মঘটের কারণে সাত কলেজের পরীক্ষায় বসতে পারেনি।

আবার অনেক শিক্ষার্থীকেই নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেখা যায়। তবে পরীক্ষা শুরু হওয়ার ১৫ মিনিট আগেই শ্রেণি কক্ষে প্রবেশের নিয়ম থাকলেও ধর্মঘটের কথা বিবেচনা করে পরীক্ষা শুরু হয়ে যাওয়ার পরও অনেক শিক্ষার্থীকে কেন্দ্রে প্রবেশের সুযোগ দেওয়া হয়েছে বলে জানান শিক্ষক পরিষদের কোষাধ্যক্ষ ওবায়দুল করিম।

তিনি বলেন, শুধুমাত্র মানবিক কারণে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষা কমিটির যাচাই-বাছাই এবং অনুমতিক্রমেই কিছু শিক্ষার্থীকে সুযোগ দেওয়া হয়েছে। 

উল্লেখ্য, গতকাল পরিবহন ধর্মঘটের মধ্যেই শুক্রবার (৫ নভেম্বর) সাত কলেজের বাণিজ্য ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে উপস্থিতি ছিল ৭৫ শতাংশ। এছাড়াও আগামী ১৩ নভেম্বর কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

আরএইচটি/এসএম