বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) অর্থনীতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান জনি পারভীনের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) বিকেলে অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষকদের একাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর জনি পারভীনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা দিয়ে তাকে আগামী ৭ দিনের মধ্যে বিভাগীয় প্রধানের পদ থেকে অপসারণ ও শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে।

অভিযোগ পত্রে বলা হয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগ সেশনজটমুক্ত ও আইকিউ এসি রেটিং এ প্রথম স্থান প্রাপ্ত ছিল। জনি পারভীন বিভাগীয় প্রধান হওয়ার পর তার লাগাতার অনুপস্থিতি, একাডেমিক মিটিং না ডাকা, করোনাকালে অনলাইন ক্লাস-পরীক্ষা না নেওয়ায় দীর্ঘ সেশনজট সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়াও তিনি বিভাগের একাডেমিক সভায় অন্য শিক্ষককে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করেন এবং কারও পরামর্শ না নিয়ে নিজের মতো করে সকলের উপর চাপিয়ে দেন। 

বিভাগের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে সব সময় অমানবিক আচরণ করেন যা বিভাগের পরিবেশ ও শৃঙ্খলা নষ্ট করে। বিভাগের শিক্ষক খন্দকার জাহাঙ্গীর আলম, শাফিউল ইসলাম, কাজী নেওয়াজ মোস্তফার আপগ্রেডেশনের আবেদন পত্র দীর্ঘদিন ধরে তার কাছে আটকে রেখেছেন। এ ছাড়াও তার অনুপস্থিতির কারণে তার ডেস্কে বিভিন্ন আবেদন পত্র ও জরুরি কাগজপত্র আটকে থাকছে।

অভিযোগ পত্রে আরও বলা হয় জনি পারভীন অর্থনীতি বিভাগ পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার ও বিভাগের অন্যান্যদের হয়রানি করছেন।

এ অবস্থায় তাকে আগামী ৭ দিনের মধ্যে দায়িত্ব থেকে অপসারণ ও শাস্তির আবেদন জানিয়ে বিভাগের ৬ জন শিক্ষক অভিযোগ পত্রে স্বাক্ষর করেন।

স্বাক্ষরকৃত শিক্ষকরা হলেন, অধ্যাপক ড মোরশেদ হোসেন, সহকারী অধ্যাপক খন্দকার জাহাঙ্গীর আলম, শাফিউল ইসলাম, হাবিবুর রহমান, বেলাল উদ্দীন, প্রভাষক কাজী নেওয়াজ মোস্তফা।

অভিযোগের বিষয়ে জনি পারভীন বলেন, আমি জানি না কোন প্রেক্ষাপটে তারা আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে। আমি একটি আবাসিক হলের দায়িত্বেও আছি। আমার অনুপস্থিতিতে কোন একাডেমিক কার্যক্রম স্তগিত হয়েছে এমন কোনো রেকর্ড নেই। আমার সঙ্গে তারা এর আগেও অসাদচারণ করেছিল তাও কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। অন্যান্য শিক্ষকদের আপগ্রেডেশন আটকে রাখার বিষয়ে বলেন, তাদের আবেদন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রমোশন নীতিমালা অনুযায়ী না হওয়ায় আমি তাদের জন্য সুপারিশ করিনি।

শিপন তালুকদার/আরআই