দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে খাদ্যের চাহিদা। বাড়ছে কৃষিশিক্ষা ও গবেষণার গুরুত্ব। কৃষিকে এগিয়ে নিতে বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একাধিক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান।

কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে তাত্ত্বিক শিক্ষায় জোর দেওয়া হলেও ব্যবহারিক শিক্ষায় ততটা গুরুত্ব নেই। অনেক সময় মাঠের গবেষণার কাজ ল্যাব ক্লাসেই সীমাবদ্ধ রেখে কোর্স সমাপ্ত করে দেওয়া হয়। ফলে বাস্তবিক গবেষণালব্ধ জ্ঞানার্জন সম্ভব হয়ে ওঠে না। 

এমন পরিস্থিতিতে কৃষিবিজ্ঞানে ইন্টার্নশিপের দাবি তুলছেন শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও সংশ্লিষ্টরা। তারা মনে করছেন, ইন্টার্নশিপ চালু হলে তাত্ত্বিক শিক্ষার পাশাপাশি প্রায়োগিক দক্ষতাও অর্জন করতে পারবেন।

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) শিক্ষার্থী সাদিয়া তন্নী বলেন, স্নাতক লেভেলে থিসিস খুব জরুরি। একটি সেমিস্টারে ইন্টার্নশিপ রাখলে অনেক কিছু শেখার সুযোগ পাওয়া যায়।

মাজেদ নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, শুধু শিট মুখস্থ করে, নামমাত্র ল্যাবে কিছুই হয় না। ভালো কিছু শিখতে ইন্টার্নশিপ সময়োপযোগী একটি পদক্ষেপ হবে।

আদিবা নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, কৃষি আমাদের প্রায়োগিক বিষয়। কিন্তু আমাদের সমস্ত জ্ঞান শিটকেন্দ্রিক। ইন্টার্নশিপ অন্তত ৩ মাসের জন্য হলেও কিছু শিখতে পারব আশা করি।  

বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. মাহমুদ আল হাসান বলেন, অবশ্যই মাঠভিত্তিক ব্যবহারিক পড়াশোনার প্রয়োজন। আমাদের দেশে বেশি মুখস্থ বিদ্যার প্রচলন বেশি, যা কোনো কাজে আসে না। দেশের কৃষি গবেষণাকে আরও ঢেলে সাজানো উচিত।

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া ইন্টার্নশিপের বিষয়ে বলেন, এর জন্য সরকার যদি বাজেট দেয়, তাহলে পজিটিভ কিছু হবে।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান এ বিষয়ে বলেন, কৃষিতে আমরা চার বছরে আট সেমিস্টার শেষ করি। এই আট সেমিস্টারের সময়ের মধ্যেই ইন্টার্নশিপটা যদি শেষ করে ফেলা যায়, তাহলে শিক্ষার্থীদের উপকার হতে পারে। 

আরএইচ