রংপুর সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সীমানাপ্রাচীর ঘেঁষে ড্রেন নির্মাণের জন্য প্রাচীরের গোড়ার মাটি সরিয়ে নেওয়ায় হেলে পড়ছে প্রাচীর। এতে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মুখভাগ (রংপুর ক্যাডেট কলেজ ও কারমাইকেল কলেজিয়েট স্কুল অ্যান্ড কলেজের মধ্যবর্তী) সম্পূর্ণ এলাকায় সীমানাপ্রাচীরের গোড়ার মাটি সরিয়ে নিয়ে পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেন নির্মাণ করেছে রংপুর সিটি করপোরেশন। ড্রেন নির্মাণ হলেও দেয়ালের গোড়ায় মাটি ভরাট না করায় হেলে পড়ছে সীমানাপ্রাচীর।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী কমলেশ চন্দ্র সরকার বলেন, এরআগে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভবন নির্মাণ করার সময় সীমানাপ্রাচীর কিছুটা বেকে গিয়েছিল। এখন গোড়ায় মাটি সরিয়ে নেওয়ায় ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে সীমানাপ্রাচীরটি। সামনে বর্ষা মৌসুমের আগে প্রাচীরের গোড়ায় মাটি না ফেললে বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে। এ বিষয়ে নিজ উদ্যোগে রংপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর একাধিকবার চিঠি দিয়েছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর গোলাম রব্বানী বলেন, সীমানাপ্রাচীর নিয়ে আমিও উদ্বিগ্ন। এখন হাত দিয়ে ধাক্কা দিয়েও নরানো যায়। প্রাচীরসংলগ্ন ড্রেনের কাজ শেষ হলেও সিটি করপোরেশন এখনও মাটি ভরাট করেনি। একাধিকবার ড্রেনের মাটি ভরাটের জন্য সিটি করপোরেশনের বরাবর চিঠি পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে রংপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী আজম আলি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাচীরের গোড়ায় মাটি ফরাট করার জন্য ঠিকাদারকে বলা হয়েছে। আমাদের ওই ড্রেনটি দর্শনা পর্যন্ত হবে। প্রয়োজনে ওই দিক থেকে মাটি এনে ভরাট করা হবে।

ঠিকাদার মাশরুর নিলয় বলেন, সীমানাপ্রাচীরটি আগে থেকেই কিছুটা হেলে পড়া ছিল। আমাদের ড্রেন নির্মাণ করার কারণে নয়। আমরা মাটি ভরাটের কাজ শুরু করেছি। ড্রেনের ডিজাইন অনুযায়ী যতটুকু মাটি ভরাট প্রয়োজন ততটুকু করব। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এর বেশি চাইলে দিতে পারব না। 

শিপন তালুকদার/এমএসআর