বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ভেতরে নেই কোনো দোকান। পাশাপাশি বন্ধ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র ক্যাফেটেরিয়া। এতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। বিশেষ করে ক্যাম্পাসের আবাসিক হলে অবস্থান করা শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগের শেষ নেই। ফলে শিক্ষার্থীদের দেড় কিলোমিটার ঘুরে প্রয়োজনীয় সামগ্রী ও নাস্তার জন্য যেতে হচ্ছে ক্যাম্পাসের বাইরে। এতে বেড়েছে শিক্ষার্থীদের বাড়তি খরচ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মুখতার ইলাহী হলের শিক্ষার্থী যুবায়ের আলী বলেন, আমাদের আবাসিক হলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর ঘেঁষে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে একটি হোটেলও নেই যেখানে বসে নাস্তা করা যাবে। নাস্তা করার একমাত্র জায়গা ক্যাফেটেরিয়া। সেটিও বন্ধ। এখন নাস্তা করতে হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে যেতে হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের দাবি, শিক্ষার্থীদের সমস্যার কথা চিন্তা করে দ্রুত ক্যাফেটেরিয়াটি খুলে দেওয়া হোক।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের শিক্ষার্থী প্রিয়দর্শী চাকমা বলেন, আমাদের আবাসিক হলের ডাইনিংয়ে সকালে কোনো খাবার পাওয়া যায় না। শুধু দুপুর ও রাতে পাওয়া যায়। সকালে খাবার খেতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে যেতে হয়। ক্যাফেটেরিয়া খোলা থাকলে বাইরে যাওয়া লাগত না।

শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের শিক্ষার্থী সুমাইয়া খাতুন বলেন, করোনার আগে ক্যাফেটেরিয়া খোলা ছিল। সকাল, দুপুর ও রাতে বিভিন্ন ধরনের খাবার পাওয়া যেত। বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পরও ক্যাফেটেরিয়া বন্ধ থাকায় আমাদের কষ্ট ভোগ করতে হচ্ছে।

বেরোবি ক্যাফেটেরিয়ার সহকারী পরিচালক বিপুল হোসেন বলেন, ক্যাফেটেরিয়া খোলার বিষয়ে কথা চলতেছে। ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।

উল্লেখ্য, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাফেটেরিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হয় ১ নভেম্বর ২০১৭ সালে। দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হলে ২০২০ সালের মার্চ মাসে ক্যাম্পাস বন্ধ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্যাফেটেরিয়াটিও বন্ধ হয়ে যায়। চলতি মাসে ক্যাম্পাস খুললেও ক্যাফেটেরিয়াটি এখনও খোলা হয়নি।

শিপন তালুকদার/এসপি