দীর্ঘ ৬২০ দিন পর হাজারো শিক্ষার্থীর পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠল নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) ক্যাম্পাস। দীর্ঘ অপেক্ষা শেষে সহপাঠীদের সঙ্গে বসে ক্লাস করতে পেরে উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীরাও। 

রোববার (২৮ নভেম্বর) সকাল থেকেই ক্যাম্পাসে ফিরতে শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘ দিন পর ক্লাসে ফেরায় বিভাগগুলোর পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন উপহারসামগ্রী দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়।

ক্লাস শুরুর প্রথম দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি, কৃষিসহ বেশ কয়েকটি বিভাগে ক্লাস শুরু হয়েছে। দীর্ঘদিন পর সহপাঠীদের একসঙ্গে ক্লাসে পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন শিক্ষার্থীরা। শুধু শিক্ষার্থীই নয়, ক্লাসে ফেরার এই ক্ষণে আনন্দিত শিক্ষকরাও। দীর্ঘ বিরতির পর আবারও ক্লাসে ফিরতে পেরে তারাও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন।

ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী সানজিদা প্রাপ্তি ঢাকা পোস্টকে বলেন, ক্যাম্পাসে আমরা নতুন ব্যাচ। বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করার আগে অল্প কিছুদিন ক্লাস করতে পেরেছি। দীর্ঘদিন পর ক্লাসে ফিরে আমরা খুব আনন্দিত। 

পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী জহির রিয়ান ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রায় ৬২০ দিন পর আজ ক্যাম্পাস কানায় কানায় পরিপূর্ণ। আশাকরি আমরা আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারব। 

ইংরেজি বিভাগের চেয়ারম্যান সহযোগী অধ্যাপক আফসানা মৌসুমি ঢাকা পোস্টকে বলেন, শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্লাসে প্রবেশ করেছে। আমরা ফুল ও উপহারসামগ্রী দিয়ে বরণ করে নিয়েছি। এতদিন তারা অনলাইনে ক্লাস করেছে আজ অফলাইনে ক্লাস শুরু হলো। আশাকরি আবার আমরা নিয়মিত ক্লাস ও পরীক্ষা চালিয়ে যেতে পারব।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষার্থীরা ক্লাসে উপস্থিত হয়। বিভাগগুলোর পক্ষ থেকে নেওয়া হয় স্বাস্থ্য সুরক্ষার ব্যবস্থা। হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং হাত ধোয়ার ব্যবস্থাও রাখা হয় বিভাগগুলোর পক্ষ থেকে।

এর আগে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দুই নভেম্বর থেকে সশরীরে ক্লাস শুরুর কথা জানায়। অন্তত এক ডোজ করোনা টিকা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্লাসে উপস্থিত হতে হবে এমন শর্তে ক্লাস খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. দিদার-উল-আলম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনেক এগিয়ে আছি। করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও আমাদের নিয়মিত অনলাইন ক্লাস হয়েছে। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় যেন গ্যাপ না হয় সেজন্য আমরা পরীক্ষা নিয়েছি। আমাদের তেমন জট নেই। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করেই সব কার্যক্রম চলছে। 

হাসিব আল আমিন/আরআই