বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রীর আত্মহত্যার চেষ্টা, চারজনকে শোকজ
ফেসবুকে রুমমেটের স্ট্যাটাস কেন্দ্র করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) এক শিক্ষার্থীর ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনায় ৪ শিক্ষার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) ওই চার শিক্ষার্থীকে প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দীন স্বাক্ষরিত পৃথক ৪টি নোটিশ দেওয়া হয়। তাদের ১ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।
কারণ দর্শানোর নোটিশ পেয়েছেন ফেসবুকে পোস্ট করা অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের এক শিক্ষার্থী, পোস্টের জেরে আত্মহত্যার চেষ্টা চালানো ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০১৮-১৯ বর্ষের এক শিক্ষার্থী ও একই বিভাগের আরও দুই শিক্ষার্থী।
বিজ্ঞাপন
এর আগে, রুমে গেস্ট আনাকে কেন্দ্র করে ২০ নভেম্বর রুমমেট সিনিয়র-জুনিয়র দুই শিক্ষার্থীর মাঝে বাগবিতণ্ডা হয়। এ সময় ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০১৮-১৯ বর্ষের শিক্ষার্থী তার পক্ষে একই বিভাগের সিনিয়র কয়েকজকে ডেকে নিয়ে জুনিয়র শিক্ষার্থীকে ধমকায়।
এরপর অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষা বর্ষের জুনিয়র শিক্ষার্থীর পক্ষে একই বিভাগের কয়েকজন মেসে আসে। এ সময় দুইপক্ষই তর্কে জড়িয়ে পড়লে মেস মালিক ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ কয়েকজন সেখানে উপস্থিত হয়ে বিষয়টি মীমাংসা করেন।
বিজ্ঞাপন
মীমাংসার পর রুমে গিয়ে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের জুনিয়র শিক্ষার্থী নিরাপত্তা শঙ্কায় ভুগছেন দাবি করে কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গ্রুপ ও নিজের টাইমলাইনে পোস্ট করেন। এরপরেই ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ফেসবুকে পাল্টা একটি পোস্ট করে ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
এ ঘটনায় দুই পক্ষই প্রক্টর অফিসে লিখিত অভিযোগ দেয়। এরপর সহকারী প্রক্টর ড. জান্নাতুল ফেরদৌসকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটি এ ঘটনায় জড়িত সকলকে মৌখিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা থাকার অভিযোগে ৪ জন শিক্ষার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়।
তদন্ত কমিটির প্রধান ড. জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, আমরা ঘটনাটি তদন্ত করেছি। তদন্তে ঘটনার সাথে চারজন শিক্ষার্থীর জোরালো সম্পৃক্ততা পাওয়া গিয়েছে। আমরা তাদের শোকজ করেছি। তারা কাল (১ ডিসেম্বর) শোকজের উত্তর দেবে। এছাড়া ঘটনার সঙ্গে যাদের তেমন সংশ্লিষ্টতা নেই তাদের মুচলেকা দিয়ে অভিভাবক ডেকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দীন বলেন, চারজন শিক্ষার্থীকে শোকজ করা হয়েছে। তারা ১ ডিসেম্বর উত্তর দিবে। উত্তর যদি সন্তোষজনক না হয় তাহলে আমরা বসে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।
এমএসআর