ঢাবির ‘শতবর্ষ মনুমেন্ট’ স্থাপনা নকশা প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব উপলক্ষে ‘শতবর্ষ মনুমেন্ট’র স্থাপনা নকশা প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে। ‘কনস্ট্রাকশন অব সেঞ্চুরি মনুমেন্ট : সেলিব্রেটিং হানড্রেড ইয়ারস অব দ্য ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা অ্যান্ড গোল্ডেন জুবিলি অব ইনডিপেন্ডন্স অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এ পুরস্কার প্রদান করা হয়।
শনিবার (৪ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে এই পুরস্কার বিতরণ করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।
বিজ্ঞাপন
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ এবং ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্টস্ বাংলাদেশের (আইএবি) সভাপতি স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে উপাচার্য আখতারুজ্জামান বলেন, এটি হচ্ছে শতবর্ষের একটি উদ্ভাবন। এই মনুমেন্টে পরিবেশ, প্রকৃতি ও নৈসর্গিক সৌন্দর্যের সঙ্গে শিক্ষার্থী ও দর্শনার্থীদের মিথস্ক্রিয়া ঘটবে। এটি যুগে যুগে নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের কাছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৌলিক দর্শন ও উদার নৈতিক মানবিক মূল্যবোধের বার্তা পৌঁছে দেবে।
বিজ্ঞাপন
উপাচার্য এ মনুমেন্টের স্থাপত্য নকশা প্রণয়নে অংশগ্রহণ ও সহযোগিতা প্রদানের জন্য ‘আইএবি’, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল দফতর, স্থপতিবৃন্দসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
এই প্রতিযোগিতায় দেশের স্বনামধন্য ৫৬টি স্থাপত্য প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে ‘নিন আর্কিটেক্টস’ বিজয়ী হয়। এছাড়া, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারী প্রতিষ্ঠানসহ আরও পাঁচটি প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার প্রদান করা হয়।
এই শতবর্ষ মনুমেন্টটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মল চত্বরে নির্মাণ করা হবে। মনুমেন্টের বেদির আয়তন ৭২০০ বর্গফুট (দৈর্ঘ্য ১২০ ফুট ও প্রস্থ ৬০ ফুট), মনুমেন্টের দৈর্ঘ্য ৭০ ফুট, প্রস্থ ৩০ ফুট এবং উচ্চতা ২৫ ফুট, এর ওয়াটার গার্ডেনের ব্যস ৬০ ফুট ও গভীরতা ৫ ফুট।
এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরবান্বিত শতবর্ষের প্রকাশ হিসেবে ১০০টি বাতি থাকবে এবং ২০টি ‘হিস্ট্রি প্যানেল’ নির্মাণ করা হবে। এখানে শিক্ষার্থীদের জন্য বসার ব্যবস্থা, সাইকেল স্ট্যান্ড, রিসাইকেল বিন, চার্জিং পয়েন্টসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থাকবে। মনুমেন্ট নির্মাণের জন্য মল চত্বর এলাকার গাছপালা ঠিক রেখে পেভমেন্ট, রোড, ড্রেন ও বৈদ্যুতিক কাজ সম্পন্ন করা হবে।
এইচআর/এসকেডি