প্রযুক্তির উন্নয়নের সঙ্গে দেশের গণমাধ্যমের বিভিন্ন দিকের পরিবর্তন হচ্ছে। নতুন এ পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর জন্য এবং মিডিয়া ব্যবসায় সফল হতে পাঠকের জন্য উপযুক্ত কনটেন্ট এবং গণমাধ্যমে সবক্ষেত্রে নতুন নতুন উদ্বোধন প্রয়োজন বলে মনে করছেন দেশের গণমাধ্যম বিশেষজ্ঞরা।

সোমবার (৬ ডিসেম্বর) রাতে গুলশানের লেকশোর হোটেলে প্রেনিউর ল্যাব ও ফ্রেডরিক নওমান ফাউন্ডেশন ফর ফ্রিডম (এফএনএফ) আয়োজিত ফিউচার অব মিডিয়া সামিটের সমাপনী বক্তব্যে বক্তারা এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক বার্তাসংস্থা এএফপির বাংলাদেশের ব্যুরো চিফ শফিকুল আলম, একাত্তর টিভির জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক নাদিয়া শারমিন, চ্যানেল ২৪ এর সিনিয়র নিউজ প্রেজেন্টার মিনহাজ উদ্দিন রাহাত এবং তথ্য প্রযুক্তি সাংবাদিক ও লেখক রাহিতুল ইসলাম রুয়েলকে নিয়ে একটি গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

গোলটেবিল বৈঠকে তারা বলেন, প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য পাঠক যাতে আগ্রহী হয় সেজন্য গণমাধ্যমে নতুন নতুন কনটেন্ট দরকার। বর্তমান এবং ভবিষ্যতে গণমাধ্যম যে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে বা করবে তা অতিক্রম করা যে অসম্ভব বিষয়টি তা নয়। আমাদের এখনো অনেক আশার আলো আছে। তবে গণমাধ্যমের সামনে সমস্যা যেমন আছে তেমনি সম্ভাবনাও রয়েছে। নতুন নতুন উদ্ভাবনের মধ্য দিয়ে আমাদের গণমাধ্যমকে এগিয়ে নিতে হবে।

সামিটের বিষয়ে প্রেনিউর ল্যাব ইয়ুথ অ্যান্ড ইনোভেশন ট্রাস্টের ট্রাষ্টি মোহাম্মদ আরিফ নিজামী বলেন, বাংলাদেশ তথা পুরো বিশ্বে ফেইক নিউজ এবং মিসইনফরমেশন বেড়েই চলছে, ডিজিটাল মিডিয়া তে পাঠকের আগ্রহ বাড়ছে এবং এই অবস্থায় সাংবাদিকদের সঠিক খবর পাঠকের কাছে তুলে ধরা এবং ভবিষ্যৎ পরিবর্তনশীল গণমাধ্যমের সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলার জন্যই আমরা সামিটের এই উদ্যোগটি নেই।

অনুষ্ঠানে সামিটের সব তথ্য তুলে ধরেন এফ এন এফ বাংলাদেশের প্রোগ্রাম ম্যানেজার ওমর মুস্তাফিজ ও সমাপনী বক্তব্য রাখেন এফএনএফ এর কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. নাজমুল হোসেন। দেশের গণমাধ্যমের ভবিষ্যৎ বিষয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা ট্রিবিউনের সম্পাদক জাফর সোবহান।

গত ২২ জুন থেকে দেশে ফিউচার ফর মিডিয়া সামিটটি শুরু হয়। সামিটের অংশ হিসেবে গণমাধ্যমকর্মী এবং তরুণ সাংবাদিকদের জন্য বিভিন্ন সময়ে ডিজিটাল তথ্য যাচাই কর্মশালা, মোবাইল সাংবাদিকতা বিষয়ে কর্মশালা, গণমাধ্যমের প্রতিকূলতা এবং এর ভবিষ্যৎ নিয়ে গোল টেবিল আলোচনা সভা ইত্যাদি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। 

সামিটে তিনশোর বেশি সাংবাদিক, ৪০ জন বক্তা অংশগ্রহণ করেন যা বিভিন্ন প্লাটফর্মের মাধ্যমে দেশের এক লাখেরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছায়।

এমটি/আইএসএইচ