দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) কৃষি অনুষদের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের একটি দল উচ্চ ফলনশীল নতুন জাতের ধান উদ্ভাবন করতে যাচ্ছে।

চলতি আমন মৌসুমে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা মাঠে এই নতুন জাতের ধান উদ্ভাবনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। খরা ও বন্যাসহিষ্ণু ধানের জাতটি দ্বিগুণের বেশি ফলনশীল হবে বলে আশা করছেন গবেষকরা। 

গবেষণায় দেখা গেছে, ধানের একটি শীষের শাখা-প্রশাখায় একটির জায়গায় ৯টি পর্যন্ত ধান পাওয়া যাচ্ছে। এই উচ্চ ফলনশীল ধান গাছের আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো- এর কাণ্ড শক্ত ও মজবুত হওয়ার কারণে রোপণ থেকে শুরু করে ধান উত্তোলন পর্যন্ত পুরো মৌসুমে গাছ হেলে না পড়ে দাঁড়িয়ে থাকবে। 

গবেষকদের দাবি, ধান গাছের পাতা শেষ পর্যন্ত সবুজ থাকার ফলে ফলন ভালো হবে এবং গবাদি পশুর গুণগত খাদ্য চাহিদাও পূরণ হবে।

নতুন জাতের ধানের উদ্ভাবনের এই গবেষণার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মামুনুর রশীদ, কৃষিতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মোমিনুর রহমান স্যার এবং উদ্ভিদ প্রজনন ও কৌলিতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আরিফুজ্জামান। গবেষণার সওঙ্গ আরও যুক্ত ছিলেন কৃষিতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী মামুনুর রশীদ, নূরী মারজান এবং উদ্ভিদ প্রজনন ও কৌলিতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী সুমি সাহা।

উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মামুনুর রশীদ জানান, গবেষণাধীন এ উচ্চ ফলনশীল ধানের জাতটি আরও কয়েক বছর রোপণ ও পর্যবেক্ষণের পর কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া হবে। এতে করে কৃষকরা অধিক ফলন পাবে এবং ধান উৎপাদন ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাবে। 

তিনি আরও বলেন, সরকার, কৃষি মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগিতা পেলে এ রকম উচ্চ ফলনশীল ধানের জাত নিয়ে আরও গবেষণা চালিয়ে যেতে চান এবং দেশের কৃষিখাতে বিশেষ অবদান রাখতে চান।

এসপি