বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) অর্থনীতি বিভাগে শিক্ষকদের অন্তদ্বন্দ্বে টানা তিন মাস থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। অফিসকক্ষে ঝুলছে তালা। ক্লাস-পরীক্ষা না হওয়ায় বাড়ছে সেশনজট ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে তৈরি হয়েছে হতাশা।

জানা যায়, মহামারির কারণে দেড় বছর ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন করোনার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ৪ মাসে সেমিস্টারসহ বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। কিন্তু অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষকদের দ্বন্দ্বে শিক্ষার্থী সেশনজট আরও বাড়ছে।

করোনাভাইরাসে দেড় বছর বন্ধের পর গত সেপ্টেম্বর মাসে অনলাইনে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলেও টানা তিন মাস থেকে বিভাগের সব একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

বিভাগের মোট ৮ জন শিক্ষকের মধ্যে ৬ জন বিভাগীয় প্রধান জনি পারভীনের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, হয়রানি ও অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ তুলে তাকে অপসারণের দাবি জানিয়ে আসছেন। তারা একাধিকবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরাবর লিখিত অভিযোগ জানান।

বিভাগের বিভিন্ন ব্যাচের দশজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিভাগীয় প্রধান জনি পারভীন শিক্ষার্থীদের সাথেও খারাপ আচরণ করেন। তার কাছে কিছু জানতে চাইলে সহযোগিতা করার পরিবর্তে রেগে যান। সবসময় শিক্ষার্থীদের সাথে রুঢ় আচরণ করেন।

অপরদিকে বিভাগীয় প্রধান জনি পারভীন সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমিই শিক্ষকদের হ্যারেজমেন্টের শিকার। শিক্ষকরাই রেজাল্ট আটকে রেখেছিল। ক্লাস-পরীক্ষা শুরুর জন্য একাধিকবার মিটিং ডাকলেও শিক্ষকরা আসেননি। বিভিন্ন সময় শিক্ষকরাই খারাপ আচরণ করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বিষয়গুলো অবগত করেছি।

এদিকে বিভাগীয় প্রধান অপসারণের দাবিতে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনে গতকাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষক-শিক্ষার্থীদর দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেয়। তবে শিক্ষকরা জানিয়েছেন দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত ক্লাসে ফিরবেন না তারা।

শিপন তালুকদার/এমএসআর