আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেছেন, পাকিস্তান আমলে এবং স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে আব্দুর রাজ্জাক ছিলেন নেতাকর্মীদের আশ্রয়স্থল। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর জিয়াউর রহমানের উদ্দেশ্য ছিল আওয়ামী লীগকে ভেঙে টুকরো টুকরো করা। কিন্তু আব্দুর রাজ্জাক বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত আওয়ামী লীগকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন।

বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি অডিটোরিয়ামে আওয়ামী লীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকের দশম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার পর থেকে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের আগ পর্যন্ত ছিল আওয়ামী লীগের দুঃসময়। এসময় নেতাকর্মীদের আস্থা, ভরসার জায়গায় ছিলেন গুটিকয়েক নেতা। তাদের মধ্যে আব্দুর রাজ্জাক ছিলেন অন্যতম। আজ রাজনীতিবিদদের মধ্যে সততা ও ন্যায় নিষ্ঠার চরম ঘাটতি। আমরা সত্য কথা বলার সাহস হারিয়ে ফেলেছি, চাটুকারিতার মাধ্যমেই নেতা হওয়া যায়, এটা মনে করছি। এই মানসিকতা নিয়ে যারা নেতা হয় তাদের দ্বারা দেশ, জাতি, সংগঠন কারোরই উপকার হয় না। আর এটা রাজ্জাক ভাই করেননি বলেই আজও নেতাকর্মীদের মধ্যে অমর হয়ে আছেন।

হানিফ বলেন, জিয়াউর রহমান দালাল আইন বাতিল করে যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযমকে দেশে ফিরিয়ে আনেন এবং মুসলিম লীগসহ  স্বাধীনতাবিরোধী রাজনৈতিক সংগঠনগুলোকে রাজনীতি করার সুযোগ দেন। যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে মন্ত্রিসভা গঠন করেন। সেই সময় আওয়ামী লীগেকে ধ্বংস করে তিনি টুকরো টুকরো করার চেষ্টা করেন। হাজার হাজার নেতাকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করেন। এই সময় ১৯৭৮ সালে রাজ্জাক ভাইকেও গ্রেফতার করে দীর্ঘকাল জেলে আটকে রাখা হয়। এ সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে তার এগিয়ে চলা ও বেড়ে ওঠা।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম,  ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসমত কাদির গামা, রাকসুর সাবেক জিএস খন্দকার জাহাঙ্গীর কবির রানা, শরীয়তপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাবেদুর রহমান খোকা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাস প্রমুখ।

এইচআর/এসএম