ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিজয় একাত্তর হলের ক্যান্টিনে কর্মরত জাবেদ হোসেন এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ।

জাবেদ নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। অদম্য মেধাবী জাবেদ ইতোপূর্বে জেএসসি পরীক্ষায়ও জিপিএ-৫ এবং সাধারণ মেধা বৃত্তি লাভ করেছিল।

জাবেদ নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জের টেকদাশের দিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবার নাম মো. রমজান আলী, মায়ের নাম জান্নাতুল ফেরদৌস। চরম অর্থনৈতিক সংকটেও জাবেদকে পড়াশোনা করিয়েছেন তার মা-বাবা। ছেলের এই অর্জনে গর্বিত তারা। জাবেদ ভালো ফলাফল করবে এই বিশ্বাস ছিল তাদেরও।

জাবেদ পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন কাজ করেছে। সর্বশেষ ঢাকায় কম্পিউটার শিখতে এসে নিজের খরচ বহন করতে কাজ শুরু করেছেন ঢাবির ক্যান্টিনে। তার জিপিএ-৫ পাওয়ার খবর পেয়ে অভিনন্দন জানিয়েছেন হলের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা। ভবিষ্যতে সহযোগিতার আশ্বাসও দিয়েছে তারা। সবার সহযোগিতা পেলে ভালো কলেজে পড়া এবং চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন জাবেদের।

জিপিএ-৫ পাওয়ার অনুভূতি জানতে চাইলে জাবেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, জিপিএ-৫ পাওয়ার পর থেকে অনেক বেশি ভালো লাগছে। হলের সবাই আমাকে অভিনন্দন জানাচ্ছে, সাপোর্ট করছেন। শিক্ষকরাও আমার সঙ্গে কথা বলেছেন। সব মিলে অনুভূতিটা আসলে ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়।

জাবেদ আরও বলে, মা-বাবা আমাকে সবসময় সাপোর্ট করেছেন। তারা বলেছেন, যতই আর্থিক সংকট থাকুক না কেন আমাকে তারা পড়াশোনা করাবে। এই ভরসা আমাকে সবচেয়ে বেশি কাজে দিয়েছে। আমারও আত্মবিশ্বাস ছিল আমি পারব।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানতে চাইলে জাবেদ বলেন, সবার সহযোগিতা পেলে আমি ঢাকায় ভালো কোনো কলেজে পড়তে চাই। ভালো করে পড়াশোনা করে ডাক্তার হয়ে আমার বাবা-বাবার স্বপ্ন পূরণ করার পাশাপাশি মানুষের সেবা করতে চাই। 

তার বাবা রমজান আলী ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার ছেলে (জাবেদ) ছোট থেকেই পড়াশোনায় ভালো ছিল। কখনো ফেল করেনি। তার এই ফলাফলে আমরা সন্তুষ্ট ও গর্বিত। রেজাল্ট প্রকাশের পর বাড়িতে মিষ্টি বিতরণ করেছি। 

বিজয় একাত্তর হলের ক্যান্টিন মালিক সোহেল বেপারী বলেন, জাবেদ অনেক ভালো ছেলে। কিছুদিন হলো এখানে কাজ করছে। তার এ অর্জনে আমরা ভীষণ খুশি। সে যখন বাড়ি যাবে তখন তাকে বোনাস দেবো। আশা করি সে ভবিষ্যতেও ভালো করবে।

এইচআর/এসকেডি