শুরু হয়েছে নতুন বছর। নানা অভিজ্ঞতায় শেষ হয়েছে ২০২১ সাল। বছরের শুরুতেই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ক্যাম্পাসে চূড়ান্ত পরীক্ষা নিয়ে প্রথম আলোচনায় আসে। আটকে থাকা সেমিস্টার শেষ করতে না পারায় বছর শেষেও চলেছে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা। বছরের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ঘটানাকে কেন্দ্র করে আলোচনা-সমালোচনার পাত্র হতে হয়েছে মধ্য-পূর্বাঞ্চলের এ বিদ্যাপীঠকে। প্রত্যাশিত-অপ্রত্যাশিত ঘটনার ভিড়ে গণমাধ্যমের শিরোনাম হতে হয়েছে বারবার। করোনার কারণে বছরের অধিকাংশ সময় বন্ধ থাকলেও ক্যাম্পাসে ছিল পরীক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থীদের প্রাণের উচ্ছ্বাস। সরকারের নির্দেশনায় ভেস্তে যাওয়া পরীক্ষার শেষ চমক ছিল সারাদেশে কুবির নীল বাসের দাপিয়ে বেড়ানো।

ইতোমধ্যে নতুন করে স্বপ্ন দেখাচ্ছে কুবির নতুন ক্যাম্পাস। শিক্ষার্থীদের বহুদিনের দাবি মূল ফটক এখন দৃশ্যমান। গুটিকয়েক তুচ্ছ ঘটনা ব্যতীত নীরব ছিল ছাত্র-শিক্ষক রাজনীতি। আমেজহীন ভর্তি পরীক্ষা ছিল বিতর্কের শেষ পেরেক। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে নতুন প্রো-ভিসি পাওয়ার সঙ্গে রয়েছে সহপাঠী হারানোর বেদনাও। ব্যর্থতা ঠেকেছে জানুয়ারির এক তারিখে নতুন বর্ষের ক্লাস শুরু করতে না পারার আক্ষেপে। মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্বে লিপ্ত ছিল সিনিয়র-জুনিয়র সম্পর্ক। সবকিছুকে পাস কাটিয়ে করোনা ও করোনা পরবর্তী বিশ্বে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়কে পরিচিত হতে হয়েছে প্রযুক্তির উত্তম ব্যবহারের সঙ্গে।

ঘটনার ভিড়ে ঘটনা চাপা পড়লেও সাল হিসেবে ২০২১ ছিল কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য নতুন অভিজ্ঞতার। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক বিষয় ছিল অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের দৃষ্টান্ত, তবে বিতর্কে কখনো পিছিয়ে ছিল না লাল পাহাড়ের সবুজ ক্যাম্পাসটি।

করোনাকালে প্রথম সশরীরে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত:

২০২০ সালের ১৭ মার্চ করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকারের নির্দেশে সারাদেশে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। তবে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে দেশের প্রথম কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ই সশরীরে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। দীর্ঘদিনের বন্ধে শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে সে বছরের ২০ ডিসেম্বর স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পরীক্ষা শুরু হয়। পরীক্ষা চলে ২০২১ এর ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। পরবর্তীতে জুনের ১৩ তারিখ আবারও পরীক্ষা নেওয়া শুরু করলে ২৫ জুন সরকারের নির্দেশনা ও একাডেমিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আবারও পরীক্ষা কার্যক্রম বাতিল করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে দূর-দূরান্ত থেকে আসা শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে না পারায় বিতর্কের মুখে পড়তে হয় কুবি প্রশাসনকে। তবে বিতর্কের অবসান ঘটে প্রতিটি বিভাগীয় শহরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নীল বাসের দাপিয়ে বেড়ানোকে কেন্দ্র করে। পরবর্তীতে ৮ সেপ্টেম্বর আবারও শুরু হয় পরীক্ষা কার্যক্রম। ইতোমধ্যে পরীক্ষার পাশাপাশি শুরু হয়েছে সশরীরে ক্লাসও।

বিভাগীয় শহরগুলোতে দাপিয়ে বেড়িয়েছে কুবির বাস:

করোনা মহামারিতে ১৩ জুন দ্বিতীয় দফায় সশরীরে পরীক্ষা নেওয়া শুরু করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। তবে ১৩ দিনের মাথায় আবারও পরীক্ষা নেওয়া বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। এতে বিতর্কের মুখে পড়তে হয় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে। তবে বিতর্কের অবসান ঘটাতে বিভাগীয় শহরগুলোতে নিজস্ব পরিবহন দিয়ে শিক্ষার্থীদের পৌঁছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তকে প্রশংসায় ভাসিয়ে দেয় দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। দেশের আটটি বিভাগীয় শহরে শিক্ষার্থীদের পৌঁছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ও বাস্তবায়ন বিশ্ববিদ্যালয়কে অন্যমাত্রায় নিয়ে যায়। মুহুর্তেই দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের আদর্শ হয়ে ওঠে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। এতে পরীক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থীদের মনে জাগে স্বস্তির নিঃশ্বাস। শিক্ষার্থীদের জন্য গর্বের বিষয় হয়ে ওঠে নীল রঙ্গের বাসগুলো। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নেওয়া নীল বাসের স্থিরচিত্র। 

উপাচার্যের শেষ সময়ে নির্জীব শিক্ষক রাজনীতি:

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ উপাচার্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে উপাচার্যের শেষ সময় কিংবা তার আগের সময়কে কেন্দ্র করে উত্তাল থাকে শিক্ষক রাজনীতি। তবে এবারের চিত্র সম্পূর্ণ উল্টো। নির্জীব ছিল এবারের শিক্ষক সমিতির নির্বাচনও। যদিও ২০২০ সালের শিক্ষক সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল শিক্ষক রাজনীতি। তখনকার সময়ে, একই আদর্শ লালনকারী বঙ্গবন্ধু পরিষদ দ্বিধাদ্বন্দ্বে বিভক্ত হয়ে পড়ে। এতে নীল দলের রাজনীতি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে।

দুই শিক্ষক নিয়ে সিন্ডিকেটের 'বিতর্কিত' সিদ্ধান্ত:

একুশের নির্বাচন কেন্দ্রিক শিক্ষক রাজনীতি নির্জীব থাকলেও বছরের মাঝামাঝি সময়ে বিতর্কিত ইস্যু নিয়ে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল শিক্ষক রাজনীতি। সিন্ডিকেট কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের এক শিক্ষকের পদের অবনতি ও গোপন তথ্য ফাঁসের অভিযোগে বিভাগীয় শাস্তির মুখে পড়া একই বিভাগের আরেক শিক্ষককে কেন্দ্র করে। একে বঙ্গবন্ধু পরিষদের একটি অংশ প্রশাসনের স্বেচ্ছাচারিতা বলে অভিহিত করেন। সমগ্র দেশে সমালোচনার পাত্র হয়ে ওঠে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, বিতর্কিত শিক্ষকগণ ও সিন্ডিকেট কমিটি। সমস্যার সমাধান না ঘটলেও ধীরে ধীরে নির্জীব হতে থাকে শিক্ষক রাজনীতি। যার নীরবতা বজায় ছিল শিক্ষক সমিতির ২০২২ সালের কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনেও।

বড় অর্জন ছিল মূল ফটক:

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকেই দৃষ্টিনন্দন ফটকের দাবি জানিয়ে আসছিল শিক্ষার্থীরা। ২০২০ সালে অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তনের আগে ফটক বানানোর প্রস্তাবনা ও আশ্বাস থাকলেও আলোর মুখ দেখেনি প্রকল্পটি৷ এতে মূল ফটক নিয়ে আবারো বিতর্কের মুখে পড়তে হয় কুবি প্রশাসনকে। তবে সব বিতর্কের মুখে এবার লেপন দিয়েছে কুবি প্রশাসন। শিক্ষার্থীদের বহুদিনের দাবি দৃষ্টিনন্দন মূল ফটক এখন দৃশ্যমান। বন্ধ ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের জন্য বড় চমক ছিল এই মূল ফটক। বছরের মাঝামাঝি সময়ে শুরু হওয়া কাজ এখন শেষের পথে। চলছে শেষপর্যায়ের কাজ। সম্প্রতি শুরু হতে চলছে সম্প্রসারিত ক্যাম্পাসের কার্যক্রমও। ইতোমধ্যেই সেনাবাহিনীর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ২০০ একরের নতুন ক্যাম্পাসে দেখা মিলবে আধুনিকতার ছোঁয়া। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে উঠতে পারে দেশের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে একটি। উচু-নিচু পাহাড় আর সবুজ ঘাসের মিতালি হয়ে উঠতে পারে কুবির নান্দনিক সৌন্দর্য।

কুবির ইতিহাসে প্রথম উপ-উপাচার্য নিয়োগ:

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করলেও শুরু থেকে ছিল না উপ-উপাচার্যের পদ। ২০১৩ সালে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় আইন- ২০০৬ সংশোধন করে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য উপ-উপাচার্যের পদ সৃষ্টি করা হয়। তবে পদ সৃষ্টির ৮ বছরেও বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ দেওয়া হয়নি কোনো উপ-উপাচার্য। সর্বশেষ গেল বছরের নভেম্বরে প্রথমবারের মতো উপ-উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. হুমায়ুন কবির। যা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।

বিতর্কিত গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা:

প্রথমবারের মতো দেশের ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা। এতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ও ছিল। এটি ছিল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য নতুন অভিজ্ঞতা। তবে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমার বদলে উল্টো বাড়ছে। আমেজহীন ছিল কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষাকেন্দ্র। ছিল না আঞ্চলিক সংগঠনগুলোর তৎপড়তা। নির্জীব ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের এলাকাও। আসেনি কোনো দূর-দূরান্তের শিক্ষার্থী। আশঙ্কা রয়েছে দূর-দূরান্তের শিক্ষার্থীরা আদৌ ভর্তি হবে কিনা? সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য থেকে দূরে সরে পড়তে পারে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষার্থী সংকটে বিলুপ্তির পথে এগোতে পারে বিভিন্ন আঞ্চলিক সংগঠন। প্রশাসনিক জটিলতা ও জিপিএ নম্বরের প্রাধান্য বিতর্ক সৃষ্টি করে কুবিতে।

সবকিছুর পরেও নতুন বছরের ব্যর্থতা ঠেকবে জানুয়ারির এক তারিখ নবীন শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু করতে না পারার আক্ষেপে। অন্যান্য সময়ে কুবি পহেলা জানুয়ারি নতুন বর্ষের ক্লাস শুরু করতে না পারলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ ব্যাচ ও ২০১৯-২০ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা ক্লাস শুরু করতে পেরেছিল জানুয়ারির প্রথম দিনেই।

সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্ব:

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনৈতিক কারণে জুনিয়ররা সিনিয়রকে অপদস্ত করার নজির থাকলেও সাম্প্রতিক বছরে বিভিন্ন ঘটনায় সিনিয়র- জুনিয়রদের সম্পর্কের অবনতির কথা জানা যায়। বেশ কয়েকবার ঘটনাগুলোকে কেন্দ্র করে সংবাদের শিরোনামও হতে হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়কে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীকে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা বেড়ধক মারধরের ঘটনা ঘটে কুবির শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলে। এতে দফায় দফায় কুবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম মাজেদের কক্ষে ২০১৮-১৯ বর্ষের শিক্ষার্থীদের রুম বন্ধ করে মারধরের ঘটনা ঘটে। এ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী ছাত্রী মেসে সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বের জেরে আত্মহত্যা চেষ্টার ঘটনাও ঘটে। এ ছাড়াও বিভিন্ন ইস্যুতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বের ঘটনা চক্ষুশূল হয়েছে সবার। যা ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অশনি সংকেত হয়ে দাঁড়াতে পারে।

সহপাঠী হারানোর বেদনা ছুঁয়েছে সবাইকে:

করোনাকালে নিরানন্দ অবসর জীবনে চারদিক থেকে ভেসে আসে স্বজন হারানোর আর্তনাদ। তেমনি ভেসে আসে সহপাঠী হারানোর করুণ সুর।  কত গান, গল্প, আড্ডায় অপরিচিত মুখ হয়েছিল আপন। সেই আপনদেরও হারাতে হয়েছে বিভিন্ন কারণে। তাদের হারিয়ে হৃদয়ে দাগ কেটেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের। বন্ধুকে হারিয়ে অতীত স্মৃতিপটে ফিরে গেছে অনেকেই। ক্যাম্পাস খোলার পর একে একে সবাই ফিরলেও ফেরেনি নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আবুল হাসান এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী তানিন মেহেদী। না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন কুবির সাবেক দুই শিক্ষার্থী মোশাররফ হোসেন ও জনি আবেদিন। মৃত্যুর মিছিলে সামিল হয়েছেন কুবির প্রতিষ্ঠাকালীন উপাচার্যও। বছরের ৮ আগষ্ট করোনা ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে শ্বাসকষ্টে মারা যান আবুল হাসান। তার আগের দিন ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মোশাররফ হোসেন। ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন তানিন মেহেদী। বছরের ২৯ জুলাই তিনি শেষ নিংশ্বাস ত্যাগ করেন। ৫ অক্টোবর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান অর্থনীতি দ্বিতীয় ব্যাচের শিক্ষার্থী জনি আবেদিন। হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর অধ্যাপক ড. গোলাম মাওলা ঢাকা গুলশানের এভার কেয়ার হাসপাতালে মৃত্যবরণ করেন।

আরআই