চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছাত্রলীগের দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) রাত ১২টার দিকে ছাত্রলীগের বিজয় ও সিএফসি গ্রুপের নেতা-কর্মীদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহরাওয়ার্দী হলের মোড় থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষ পরে শাহ আমানত হলেও ছড়িয়ে পড়ে। রাত ১টা পর্যন্ত চলে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ।

চবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সিএফসি গ্রপের নেতা রেজাউল হক রুবেল বলেন, চবি ছাত্রলীগের কার্যক্রমকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে দীর্ঘ দিন ধরে অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। আর সেই সূত্র ধরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটল। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. শহীদুল ইসলাম বলেন, ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে।  

২০১৯ সালের ১৪ জুন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের দুই সদস্যের কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। এরপর দুই সদস্যের কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে দুই বছরের বেশি পার করছে। দীর্ঘদিন পূর্ণাঙ্গ কমিটি না থাকায় হতাশা বাড়ছে এই ইউনিটের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মাঝে। এছাড়া পূর্ণাঙ্গ কমিটি না হওয়াতে নানা সময় নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষ এবং হতাহতের ঘটনা ঘটছে।

গত ১৩ জানুয়ারি চবি ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনে যান কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক হায়দার মোহাম্মদ জিতু এবং উপ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক শেখ নাজমুল। তাদের উপস্থিতিতে ২৫ জানুয়ারির আগে শাখা ছাত্রলীগের কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার ঘোষণা দেন চবি ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপু। তখন থেকেই বিষয়টি নিয়ে চাপা উত্তেজনা রয়েছে।  

রুমান/এসপি/এনএফ