বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তির পঞ্চম ও সপ্তম মেধা তালিকা প্রকাশ ও সাক্ষাৎকারের সময় কম হওয়ায় ভর্তি হতে না পারার আশঙ্কা করছে অপেক্ষমাণ দূরের ভর্তিচ্ছুরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সর্বশেষ ভর্তি বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম বর্ষে আসন ফাঁকা থাকা সাপেক্ষে ভর্তির পঞ্চম, ষষ্ঠ ও সপ্তম মেধা তালিকা প্রকাশ করা হবে যথাক্রমে ২৩, ২৪ ও ২৫ জানুয়ারি রাত ১১টায় এবং ভর্তি হতে হবে মেধা তালিকা প্রকাশের পরদিন বিকাল ৩টার মধ্যে। এতে করে অপেক্ষমাণ দূরের ভর্তিচ্ছুরা ভর্তি না হতে পারার আশঙ্কা করছে।

যশোর থেকে ভর্তিচ্ছু হুমায়ুন কবির বলেন, আমার বাড়ি যশোরের এক প্রত্যন্ত এলাকায়। আমি বেরোবি ভর্তির অপেক্ষমাণ তালিকায় আছি। রাত ১১টায় ভর্তি রেজাল্ট পেয়ে যদি তখনই বাড়ি থেকে বের হই তবুও পরদিন ৩টার মধ্যে রংপুর পৌঁছাতে পারব না। আমি বেরোবিতে ভর্তি হতে না পারার আশঙ্কা করছি।

খুলনা থেকে আফসানা খাতুন বলেন, এবার গুচ্ছভর্তি পরীক্ষায় চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করেছি এর মধ্যে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ও একটি। ওয়েটিং লিস্টের রেজাল্ট ও ভর্তি হওয়ার সময় খুবই কম। এখন দেখছি রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেলেও সময়ের অভাবে ভর্তি হতে পারব না। সময় আরও বেশি দেওয়ার প্রয়োজন ছিল।

এক ভর্তিচ্ছুর অভিভাবক বলেন, অপেক্ষমাণ তালিকা প্রকাশ ও ভর্তির মধ্যে সময় দিয়েছে মাত্র ১৬ ঘণ্টা। দূরের শিক্ষার্থীরা কখনো ঐ সময়ের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে ভর্তি হতে পারবে না। দূরের শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে ভর্তির সময় বাড়ানো দরকার ছিল।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন ড. মিজানুর রহমান বলেন, যে সব শিক্ষার্থী নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে পারবে না তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে দেওয়া নিয়ম অনুযায়ী ভর্তির টাকা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে জমা দেবে এবং পছন্দক্রম অনুযায়ী বরাদ্দ পাওয়া বিষয়ের বিভাগীয় প্রধানকে জানিয়ে সাক্ষাৎকারের সময় বৃদ্ধি করে নিতে হবে। কেউ যদি সময় বৃদ্ধি করেও না আসতে পারে অথবা সাক্ষাৎকারের সময় নির্দিষ্ট কাগজ না আনে তাহলে তার ভর্তি বাতিল হবে।

শিপন তালুকদার/আরআই