শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে ভিসি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে পদত্যাগের দাবিতে আমরণ অনশনরত শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। কিছুক্ষণ পরপর বেজে উঠছে অ্যাম্বুলেসের সাইরেন। অনশনরত ২৪ শিক্ষার্থীর মধ্যে ১৬ জনই হাসপাতালে।

বর্তমানে ৭ জন শিক্ষার্থী ভিসির বাসভবনের সামনে আমরণ অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন। তারাও অসুস্থ হয়ে আসছেন। সবার শরীরে স্যালাইন চলছে। একজন প্রথম দিনেই বাবা অসুস্থ হওয়ায় বাড়ি চলে যান।

ওদিকে হাসপাতালে যারা আছেন, তাদের কেউই এখন পর্যন্ত অনশন ভাঙেননি। তবে তাদের চিকিৎসা চলছে।

এর আগে অনশনের তৃতীয় দিন শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির আহ্বানে ঢাকায় প্রতিনিধিদল যাওয়ার কথা থাকলেও শেষে প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। অবশ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির একটি প্রতিনিধিদল শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে ঢাকায় অবস্থান করছেন।

অন্যদিকে অনশনকারী শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আবেদিন শনিবার সকালে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। অনশনকারীরা তিন দিন ধরে পানিসহ কোনো ধরনের তরল খাদ্য গ্রহণ করছেন না। ফলে অনেকেই নিস্তেজ হয়ে যাচ্ছে। তবে ভিসির পদত্যাগ না করা পর্যন্ত কেউ অনশন ভাঙবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন।

রোববার (১৬ জানুয়ারি) পুলিশ-শিক্ষার্থী সংঘর্ষের পর শাবিপ্রবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়র কার্যক্রমে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়। ওই দিনই জরুরি সিন্ডিকেট সভা ডেকে বিশ্ববিদ্যালয় ও হল বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কর্তৃপক্ষের সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে হলে অবস্থান করে শিক্ষার্থীরা ভিসির পদত্যাগের আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।

প্রসঙ্গত, ১৩ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার থেকে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। বেগম সিরাজুননেসা ছাত্রী হলের প্রভোস্টের পদত্যাগসহ চার দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন তারা। আন্দোলনের এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি হামলা হয়। এরপর আন্দোলন ভিসির পদত্যাগের এক দফা দাবিতে পরিণত হয়। বর্তমানে দশম দিনের মতো কর্মসূচি চলছে।

এই প্রতিবেদন লেখা (দুপুর সোয়া ২টা) পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা ভিসির বাসভবনের সামনে অনশন পালন করছেন।

এনএ