সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিনের পদত্যাগ দাবিতে শিক্ষার্থীদের আমরণ অনশনের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে প্রতীকী অনশন করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা। শনিবার ( ২২ জানুয়ারি) বিকেল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিফলক চত্বরে এ কর্মসূচি পালিত হয়।

এ সময় শিক্ষার্থীরা বলেন, শাবি শিক্ষার্থীদের আমরণ অনশনের প্রতি সংহতি জ্ঞাপন করছি। আমরা দেখছি আমরণ অনশনের ৭২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেছে। অনেক শিক্ষার্থীর অবস্থা খুবই করুণ। তারা পানি পর্যন্ত গ্ৰহণ করছে না। তাদের আত্মত্যাগ এমন পর্যায়ে গেছে- একজনের নানি মারা যাওয়া সত্ত্বেও তিনি অনশন ভঙ্গ করেননি। আরেকজন শিক্ষার্থী বাবার হার্ট অ্যাটাক হয়েছে জেনেও অনশন কর্মসূচি পালন করছে। উপাচার্য পদত্যাগ না করা পর্যন্ত তারা অনশন চালিয়ে যাবেন বলে বলছেন।

শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, যদি আমাদের কোনো শিক্ষার্থী ভাই-বোনের কোনো ক্ষতি হয়, তাহলে প্রত্যেকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রতিবাদের দাবানল জ্বলবে। এ আন্দোলন বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দিলেও চলবে। সরকার মনে করছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করলে আন্দোলন থেমে যাবে। কিন্তু এ নাটক আর চলবে না। আমাদের এক দফা দাবি হলো উপাচার্যের পদত্যাগ। সরকারের উচিত অযোগ্য ও নারী বিদ্বেষী উপাচার্য ফরিদ উদ্দিনকে অপসারণ করে দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করা। এর বিকল্প কিছু হতে পারে না।

এ কর্মসূচিতে ‘শিক্ষার্থীদের রক্ত ঝরে, প্রশাসন অট্টো হাসে’, ‘শাবিপ্রবির আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি’, ‘শাবিপ্রবিতে হামলাকারী সন্ত্রাসীদের বিচার চাই’, ‘শাবিপ্রবির নির্লজ্জ ভিসির অপসারণ চাই’ প্রভৃতি স্লোগান সংবলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন শিক্ষার্থীরা।

বক্তব্য দেন ছাত্র অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক আমান উল্লাহ আমান, ছাত্র ফেডারেশনের সম্পাদক মোহাব্বত হোসেন মিলন, রাকসু আন্দোলন মঞ্চের আহ্বায়ক আব্দুল মজিদ অন্তর প্রমুখ।  

কর্মসূচি থেকে শিক্ষার্থীরা চার দফা দাবি জানান। তাদের দাবিগুলো হচ্ছে- অবিলম্বে শাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিনকে পদত্যাগ করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়টির ৩০০ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। শিক্ষার্থীদের ওপর করা হামলার ঘটনায় তদন্ত করে বিচার করতে হবে। ছাত্র সংসদ নির্বাচন দিয়ে ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি করতে হবে। 

মেশকাত মিশু/আরএআর