শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে ধারাবাহিক আন্দোলন করে আসছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা। গত কয়েকদিন ধরে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল, অবস্থান কর্মসূচির মাধ্যমে সংহতি জানিয়ে আসছেন তারা।

এরই অংশ হিসেবে রোববার (২৩ জানুয়ারি) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে শাবিপ্রবি ভিসির অপসারণের দাবিতে চলমান আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে ‘সাস্টের পাশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’ ব্যানারে মানববন্ধন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

এ সময় শিক্ষার্থীরা-২৪ ছাত্র অনশনে, ভিসি এখনো সিংহাসনে; পতন পতন পতন চাই, ভিসি ফরিদের পতন চাই; যে ভিসি ছাত্র মারে, সে ভিসি চাই না; ইত্যাদি প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।

মানববন্ধনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য বিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী আকিফ আহমেদ বলেন, এই সংকট শুধু শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে নয়; এটা প্রত্যেক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ও ছাত্রদের মধ্যকার সম্পর্কের একটা নমুনা মাত্রা। আজকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ছাত্রদের প্রতি কতটা দ্বায়িত্বশীল তার নমুনা শাবিপ্রবির ভিসি। আহমদ ছফা যদি আজ নতুন করে ‘গাভি বৃত্তান্ত’ লিখতেন তাহলে তিনি হয়তোবা ভাবতেন ভিসি গাভিও পালন করতে পারবে কি না।

রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আনিকা আনজুম বলেন, ভিসির কাজ ক্যাম্পাসের পরিবেশ ঠিক রাখা, শিক্ষার্থীদের স্বার্থ রক্ষা করা; কিন্তু বর্তমানে ভিসিরা সরকারের পা চাটা গোলামে পরিণত হয়েছে। তাদের একটাই কাজ সেটা হলো সরকারকে তোষামোদ করা। প্রত্যেকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য স্বৈরাচারী কায়দায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পরিচালনা করছে। তারা আজও এক হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা কোনো অমেরুদণ্ডী প্রাণীকে ভিসি হিসেবে চাই না, তারাও যদি অমেরুদণ্ডী প্রাণী হয়ে থাকে তারাও পদত্যাগ করুক। আমরা সাধুবাদ জানাই।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন শাবিপ্রবির বায়োটেক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী হাসিবুল হাসান সিয়াম। সংহতি জানানোর জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, শাবিপ্রবির উপাচার্য সহিংস হাতে শিক্ষার্থীদের উপর আক্রমণ করে বোঝাতে চান তার কত ক্ষমতা। আমরা অহিংস আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা আমাদের আন্দোলনকে অহিংসই রাখব। আমরা প্রমাণ করতে চাই কোনো অস্ত্র হাতে না নিয়ে, কারো ক্ষতি না করে একটা সুন্দর আন্দোলন করতে পারি এবং আমরা একটা সুফল বয়ে আনতে পারি।

তিনি বলেন, কোনো দলের সঙ্গী হয়ে আমরা আন্দোলন করছি না। এমনকি কারও প্ররোচণা নিয়েও আমরা আন্দোলন করছি না। এটা সাধারণ শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবি আদায়ের আন্দোলন। যতদিন আমাদের দাবি আদায় হচ্ছে না ততদিন আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। আর আমাদের ন্যায্য দাবি আদায়ে যারা বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছেন আপনাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

এইচআর/জেডএস