শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) উপাচার্যের বাসভবনের বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্নকারীদের কর্মকাণ্ডে সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।

রোববার (২৩ জানুয়ারি) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে জানানো হয়, আন্দোলনের যৌক্তিক সমাধানের জন্য যখন আলোচনা চলছে সেই অবস্থায় এ রকম কার্যক্রম অন্য কিছুর ইঙ্গিত বহন করে বলে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ নেতারা মনে করেন। সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আন্দোলনের নামে এ ধরনের অমানবিক কর্মকাণ্ডকে কোনো অবস্থাতেই সমর্থন করতে পারে না।

এই ধরনের অমানবিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার জন্য আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান ও সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন।

এর আগে রোববার (২৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের বাসভবনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে বলে জানান আন্দোলনরত শিক্ষার্থী সাদিয়া আফরিন।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের অনশনরত ভাই-বোনেরা অনশনে কষ্ট করছে, আর উপাচার্য ওদিকে আরাম-আয়েশে দিন কাটাচ্ছেন। এটা আমরা মেনে নিতে পারছি না। আমরা আমাদের আন্দোলনের অংশ হিসেবে উপাচার্যের বাসভবনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছি।

রোববার বিকেলে উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তখন শিক্ষার্থীরা ঘোষণা দেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ছাড়া উপাচার্যের বাসভবনের ভেতরে আর কাউকে ঢুকতে দেওয়া হবে না। শিক্ষার্থীরা জানান, পরিস্থিতি যেভাবে এগোচ্ছে, তাতে তারা আরও কঠোর কর্মসূচির দিকে যেতে বাধ্য হবেন।

উল্লেখ্য, একটি ছাত্রী হলের প্রভোস্টের পদত্যাগের দাবিতে শুরু হওয়া আন্দোলন শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি হামলার পর উপাচার্যের পদত্যাগ আন্দোলনে রূপ নেয়। আন্দোলনের এক পর্যায়ে শুরু হয় শিক্ষার্থীদের আমরণ অনশন কর্মসূচি। ওই কর্মসূচিতে ইতোমধ্যে ১৬ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। অসুস্থ শিক্ষার্থীদের কারো কারো অবস্থা খুবই খারাপ।

মাসুদ আহমদ রনি/এমএসআর