ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হল ছাত্রলীগের নেতৃত্বে সংগঠনের জন্য ত্যাগী, পরিশ্রমী ও ক্লিন ইমেজের নেতাদের দেখতে চান পদপ্রত্যাশীরা। সোমবার দিবাগত রাতে সলিমুল্লাহ মুসলিম হল ছাত্রলীগের কর্মী সমাবেশে এমন অভিমত ব্যক্ত করেন তারা।

পদপ্রত্যাশীরা বলেন, আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার কারণে বিভিন্ন মৌলবাদী সংগঠনের কর্মীরা ছাত্রলীগে ঘাপটি মেরে থাকতে পারে। তাদের ফিল্টারিং করে মুজিব আদর্শের কর্মীদের যাতে নেতৃত্বে নিয়ে আসা হয়। বিতর্কিতরা যেন কোনোভাবে নেতৃত্বে না আসে। 

কেন্দ্রীয় ও ঢাবির শীর্ষ নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তারা আরও বলেন, যারা ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে গিয়ে নিরাপদ সড়ক আন্দোলন ও কোটা আন্দোলনে সম্পৃক্ত ছিল, স্বাধীনতাবিরোধী দল বা পরিবার থেকে যারা দলে ভিড়েছে, তাদের যেন কোনোভাবেই নেতৃত্বে নিয়ে আসা না হয়।

হল ছাত্রলীগের সভাপতি তাহসান আহমেদ রাসেলের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান তাপসের সঞ্চালনায় কর্মী সমাবেশে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস, সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান পিকুল, রকিবুল ইসলাম ঐতিহ্য, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব খান, উপ-মানব সম্পদ বিষয়ক সোলায়মান খান সুজনসহ বিশ্ববিদ্যালয় ও হল শাখা ছাত্রলীগের নেতারা।

কর্মী সমাবেশে সনজিত চন্দ্র দাস বলেন, আপনাদের আমলনামা আমাদের হাতে রয়েছে। যারা মাদকে জড়িত, যাদের নামে বিভিন্ন অপকর্মের রেকর্ড রয়েছে, তারা কেউ হল ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক হতে পারবে না। হলের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক যদি কোনো অনুপ্রবেশকারী হয়, তাহলে এ হল আর আমাদের আদর্শিক হল থাকবে না। ত্যাগ, শ্রমসহ সব কার্যক্রম বিবেচনা করে সুযোগ্য নেতৃত্ব উঠে আসবে।

ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, যেদিন থেকে হলে নতুন নেতৃত্ব আসবে, সেদিন থেকে এখানকার প্রত্যেক শিক্ষার্থী, ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকুক বা না থাকুক, তারা যেন লেখাপড়া করতে পারে, সামাজিক-সাংস্কৃতিকভাবে এ হল যেন উজ্জীবিত থাকে, সবার স্বপ্ন পূরণের সহায়ক প্রতিষ্ঠান হিসেবে এসএম হল ছাত্রলীগ পাশে থাকবে এমনটাই প্রত্যাশা।

কর্মী সমাবেশে হল ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশী হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ঢাবি ছাত্রলীগের সাবেক উপ-কর্মসূচি ও পরিকল্পনা সম্পাদক আতিকুর রহমান আতিক, হল ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন, মিলন খান, শাহ সুফি কামাল রাশো, রায়হান হোসেন, নাজমুল হোসেন, আজহার উদ্দিন রাসেল, আরিফুল ইসলাম আরিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক তানভীর সিকদার, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক সোহরাব খান, গণশিক্ষা সম্পাদক মোস্তফা সরকার মিশাদ, পরিবেশ সম্পাদক রিয়াজ বিন ওয়াহাব, সাহিত্য সম্পাদক আশিকুর রহমান সোহাগ, সমাজসেবা সম্পাদক উমিদ হাসান মিজান, আপ্যায়ন সম্পাদক ইমন খান জীবন, ছাত্রবৃত্তি সম্পাদক হাকীমুল ইসলাম তারেক, কর্মসূচি ও পরিকল্পনা সম্পাদক তুষার হোসেন ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহ-সম্পাদক সায়মুন ইসলাম বাপ্পী।

এইচআর/আরএইচ