শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান সংকট দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিরসনের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক শিক্ষার্থীরা। সেই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি হামলা ও পরবর্তীতে মামলার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তারা।

স্থানীয় সময় সোমবার রাত ৯টায় এক ভার্চুয়াল সভায় এ নিন্দা ও প্রতিবাদ প্রস্তাব গৃহীত হয়। মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে সাবেক শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে প্রেরিত এক সংবাদবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
 
এছাড়া পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে কয়েকটি প্রস্তাবনা উপস্থাপন করা হয় এ সভায়। শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙাতে সরকার, শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান উপস্থিতরা। সেই সাথে কোনো ধরনের শর্তছাড়াই পুলিশি এসল্ট মামলা প্রত্যাহারের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের ওপর এই হামলার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানান তারা। 
 
সভায় উপস্থিত সদস্যরা মনে করেন, শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের অন্যতম কলঙ্কজনক অধ্যায়। এই ঘটনায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সমর্থন ও দাবি মেনে নেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির প্রতি আহ্বান জানানো হয়। 
 
সর্বোপরি, শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গৃহীতপূর্বক শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় দায়ীদেরকে শাস্তির আওতায় আনার আহ্বান জানানো হয় এ সভায়।

প্রসঙ্গত, শা‌বিপ্রবির শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সূত্রপাত ১৩ জানুয়ারি। সেদিন রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রভোস্ট জাফরিন আহমেদের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ তুলে তার পদত্যাগসহ ৩ দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন হলের কয়েক শ ছাত্রী। গত শনিবার ছাত্রীদের ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগ।

পরদিন বিকেলে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি ভবনে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করেন। শিক্ষার্থীদের লাঠিপেটা ও তাদের লক্ষ্য করে রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে পুলিশ। ওইদিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ও হলছাড়ার ঘোষণা দেওয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ও হলছাড়ার ঘোষণা উপেক্ষা করে উপাচার্যের পদত্যাগ চেয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ঢাকা, রাজশাহী, জাহাঙ্গীরনগর, খুলনা ও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ।

জুবায়েদুল হক রবিন/এমএসআর