নির্বাচনী বিরোধিতার সূত্র ধরে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মনির হোসেন চৌকিদারকে কুপিয়ে জখম ও হাতের তিনটি আঙুল বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে প্রতিপক্ষরা। এ ঘটনায় হামলায় অভিযুক্ত একজনকে আটক করেছে পুলিশ। 

গুরুত্বর আহত ইউপি মেম্বারকে উন্নত চিকিৎকার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বরিশালের হিজলা উপজেলার মেমানিয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ডিগ্রিরচর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হিজলা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইউনুস মিয়া। তিনি জানান, হামলায় অভিযুক্ত সোহাগ মৃধাকে অভিযান চালিয়ে আটক করা হয়েছে। গুরুত্বর আহত ইউপি মেম্বারকে বরিশালে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। মামলা এখনো হয়নি।

সদ্য সমাপ্ত ইউনিয়ন পরিষদ মেমানিয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের নির্বাচনে মনির হোসেন চৌকিদার ও লতিফ মৃধা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন। ওই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের ঘটনায় লতিফ মৃধার পক্ষের মামলায় গ্রেফতার হন মনির হোসেন চৌকিদার। নির্বাচনে কারাগারে থেকেই জয়লাভ করেন তিনি। সেই বিরোধ দুই পক্ষের মধ্যে চলমান ছিল।

স্থানীয় লতিফ খান জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে ডিগ্রিরচর থেকে বাড়ি ফেরার পথে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর লোকজন মনির হোসেন চৌকিদারকে পথ আটকে কুপিয়ে ফেলে রেখে যায়। এলাকার লোকজন তা দেখতে পেয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আহত ইউপি মেম্বার মনির হোসেন চৌকিদার বলেন, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী লতিফ মৃধা, সোহাগ মৃধা, সজীব, ফারুক, মঈনউদ্দীন, লিমন, নজরুলসহ ১০-১২ জন মিলে আমাকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে। তারা কোপানোর পর আমি নিস্তেজ হয়ে পরলে মৃত ভেবে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।

মেমানিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন হাওলাদার বলেন, ঘটনাটি দুঃখজনক। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে অসুস্থ মনির হোসেনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছি। তিনি বলেন, নির্বাচনী বিরোধের সূত্র ধরেই হামলার ঘটনা ঘটেছে।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/এমএএস