নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলায় একটি ভাড়া বাসা থেকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় রনদীর তালুকদার (৩৪) নামে এনজিওর এক মাঠকর্মীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়। তাতে লেখা ছিল, ‘আমার মৃত্যুর জন্য ম্যানেজার দায়ী।’

বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে পুলিশ ঝুলন্ত মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা চিরকুটটি রনদীর তালুকদারের লেখা কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার বিকেলে কোনো এক সময়ে আত্মহত্যার ঘটনাটি ঘটেছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।

রাতে দুর্গাপুর থানার পরিদর্শক (ওসি-তদন্ত) মীর মাহাবুবুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ এবং বিছানায় পড়ে থাকা চিরকুটটি উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটনে পুলিশ কাজ করছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

এদিকে পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাত দিয়ে জানা গেছে, সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার শমিপুর গ্রামের মৃত কৃষ্ণধন তালুকদারের ছেলে রনদীর তালুকদার। তিনি দুর্গাপুর উপজেলার বাকলজোড়া ইউনিয়নের কুমুদগঞ্জ শাখায় একটি এনজিওর মাঠকর্মী হিসেবে কাজ করতেন। তিনি ওই ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের বাচ্চু মিয়ার বাসায় ভাড়া থাকতেন। প্রতিদিনের মতো কাজ শেষে বৃহস্পতিবার বিকেলে বাসায় আসেন রনদীর। এরপর সন্ধ্যার দিকে পাশের বাসার একজন তার ঘরে এসে দেখতে পান রনদীর মরদেহ ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছে। এ সময় তিনি চিৎকার শুরু করলে স্থানীয়রা ছুটে এসে পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

মো. জিয়াউর রহমান/এসএসএইচ