রংপুরের গঙ্গাচড়ায় সাইদুল ইসলাম (৪২) নামে এক ব্যক্তি বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন। বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এর আগে এক নারীর মৃত্যুর ঘটনায় আসামি ছিলেন সহিদুল। তিনি ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিলেন। ঘটনার পাঁচ দিন পর বুধবার বিকেলে বাড়ির পাশে বিষপান করেন তিনি। সহিদুল ইসলাম গঙ্গাচড়া উপজেলার নীলকচন্ডি গ্রামের মৃত মহুবর রহমানের ছেলে।

বিষপানে আত্মহত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল-এ) আবু তৈয়ব মো. আরিফ হোসেন। তিনি জানান, ঘটনার পর সহিদুল ইসলাম আত্মগোপনে ছিলেন। পুলিশ তাকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রাখে। এরই মাঝে বুধবার বিকেলে বাড়ির পাশে বিষপান করেন সহিদুল। খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার বিকেলে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে একটি ইউডি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। 

এর আগে নিখোঁজের পাঁচদিন পর ২০ ফেব্রুয়ারি (রোববার) দুপুরে গঙ্গাচড়া উপজেলার বুড়িরহাট কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের পরিত্যক্ত একটি ভবন থেকে রাহেলা খাতুন নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ব্যাংকে জমানো ডিপিএসের টাকা তুলে এনে বসতভিটার জন্য জমি কিনতে বের হয়েছিলেন নিখোঁজ জুটমিল শ্রমিক রাহেলা। তিনি গঙ্গাচড়া কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের পাশেই চ্যাংমারী এলাকার আবাসনে বসবাস করতেন।

পুলিশ ছাড়াও সিআইডি এবং পিবিআইসহ বিভিন্ন তদন্ত সংস্থার মতে, বুড়িরহাট কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের কর্মচারী সহিদুল ইসলামের সঙ্গে রাহেলা খাতুনের পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। সেই সম্পর্কের সুযোগ নিয়ে রাহেলার ডিপিএসের টাকা হাতিয়ে নিতেই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এসপি