বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, যারা দুর্নীতিবাজ দেশবিরোধী, যারা নিজের পরিবার ও গোষ্ঠীর স্বার্থ ছাড়া গণমানুষের স্বার্থ কখনো দেখেনি তাদের জনগণ বার বার প্রত্যাখ্যান করেছে। আমরা আশা করি আগামীতেও এসব ষড়যন্ত্রকারী, অগ্নিসংযোগকারী, যুদ্ধাপরাধী, রাজাকারের দোসরদের এই মাটিতে জনগণ প্রত্যাখ্যান করবে। সেজন্য আমাদের অনেক বেশি সংঘবদ্ধ থাকা প্রয়োজন। 

শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

ডা. দীপু মনি আরও বলেন, গত সাত দশকে এই বাংলার যত উন্নয়ন হয়েছে তার সব কিছু এসেছে আওয়ামী লীগের হাত ধরে। আমাদের ভাষার অধিকার, আমাদের স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, খাদ্য নিরাপত্তা, নারীর ক্ষমতায়ন, দারিদ্র্য বিমোচন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, শিল্প, যোগাযোগ ব্যবস্থা, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, কৃষিসহ সব ক্ষেত্রেই বিপ্লব সাধিত হয়েছে। 

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করার জন্য শেখ হাসিনার সরকার কাজ করেছে। অতীতের যত জঞ্জাল ছিল সব জঞ্জাল পরিষ্কার করতে হয়েছে শেখ হাসিনাকে। আজও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে চলেছি আমরা। 

আওয়ামী লীগের দুর্গ হিসেবে পরিচিত গফরগাঁও উপজেলায় ২৫ বছর পর শনিবার ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের আয়োজন করে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। এ দিন বিকেলে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট জহিরুল হক খোকা।

স্থানীয় সংসদ সদস্য ফাহমী গোলন্দাজ বাবেলের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসিম কুমার উকিল এমপি, সদস্য মারুফা আক্তার পপি, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, সংসদ সদস্য জুয়েল আরেং, নাজিম উদ্দিন আহমেদ, মাওলানা রুহুল আমিন মাদানী, কাজিম উদ্দিন আহমেদ ধনু, আনোয়ারুল আবেদিন তুহিন ও মনিরা সুলতানা মনি প্রমুখ। প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল।

আলোচনা সভা শেষে রাত ৯টার দিকে দ্বিতীয় অধিবেশনে তরুণ এমপি ফাহমী গোলন্দাজ বাবেলকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলার বারবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেমকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মনোনীত করা হয়।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৬ সালের নভেম্বর মাসে উপজেলা আওয়ামী লীগের সবশেষ ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ওই সম্মেলনের পর ৫১ সদস্যের কমিটি গঠিত হয়। এরপর ২০১৭ সালে স্থানীয় সংসদ সদস্য ফাহমী গোলন্দাজ বাবেলকে আহ্বায়ক ও উপজেলা চেয়ারম্যান আশরাফ উদ্দিন বাদলকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে কমিটি গঠন করা হয়। এরপর প্রায় ৫ বছর ধরে সেই আহ্বায়ক কমিটিতেই সাংগঠনিক কাজকর্ম চলে আসছিল।

উবায়দুল হক/এসপি