ঠাকুরগাঁওয়ের রুহিয়াতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত চারজন আহত হয়েছেন। তারা শহরের একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদের মধ্যে গুরুতর একজনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেছেন চিকিৎসক। 

শনিবার (২৬ ফেব্রুফারি) দিবাগত রাত দুইটার দিকে রুহিয়া চৌরাস্তায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, রুহিয়া থানার আহ্বায়ক আরিফ হোসেন (স্বাক্ষরিত) রুহিয়ার ছয়টি ইউনিয়নে ছাত্রলীগের আংশিক কমিটি অনুমোদন দেন। এই কমিটিতে যারা পদ পাননি তারা ক্ষুব্ধ হয়ে কমিটিকে অবৈধ আখ্যায়িত করেন। এ নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা ছড়ায়। ওই দিন থানার ২০ নং রুহিয়া ইউনিয়নের সভাপতি ফেসবুকে নিজের পদত্যাগের বিষয়ে স্ট্যাটাস দেন। এ বিষয় নিয়ে রাত ২টায় রুহিয়া চৌরাস্তা এলাকায় ছাত্রলীগ নেতা হেলাল উদ্দীন ও সবুজ ইসলামের সঙ্গে বদবঞ্চিতদের কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ বাধে।

সংঘর্ষে কমিটির পদধারী হযরত আলী ও পদবঞ্চিত মানিক ইসলাম, রবিউর ইসলাম ও মিঠুন গুরুতর জখম হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য শহরের সেবা ক্লিনিকে ভর্তি করান।

এ বিষয়ে জানতে রুহিয়া থানা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক আরিফ হোসেনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিমুন সরকার বলেন, রুহিয়া থানায় যে কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে তাতে আমাদের লিখিত অনুমতি নাই। তবে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতির মৌখিক ইন্ধন রয়েছে। তারা ব্যক্তিগতভাবে সভাপতির সাথে এ বিষয়ে যোগাযোগ করে আসছিল। যেহেতু লিখিত অনুমতি নাই সেহেতু কমিটিগুলো অবৈধ। ছাত্রলীগের মধ্যে যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে তা অনাকাঙ্খিত। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আজহারুল ইসলাম বলেন, আমরা চার মাস আগে লিখিতভাবে জানিয়েছি যে জেলা ছাত্রলীগের অনুমতি ছাড়া যেন কোনো কমিটি ঘোষণা করা না হয়। 

রুহিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা ওসি (তদন্ত) মো. শহিদুর রহমান বলেন, সংঘর্ষের বিষয়ে শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এম এ সামাদ/আরআই