ভারত, কাশ্মীর, মিয়ানমার, ফিলিস্তিন, সিরিয়াসহ বিশ্বের নির্যাতিত মুসলমানদের নিরাপত্তা ও সমগ্র মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনার মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে চরমোনাইয়ের তিন দিন ব্যাপী বাৎসরিক মাহফিল। এই তিন দিনে মাহফিলে আগত কয়েক লাখ মুসল্লির মধ্য থেকে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন চরমোনাই মাহফিল মিডিয়া উপকমিটির সহসমন্বয়ক কে এম শরীয়াতুল্লাহ। 

তিনি জানান, মারা যাওয়া ১৪ জনের মধ্যে মাহফিলে আসার পথে সিরাজগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা একটি ট্রলারডুবিতে ৪ জন এবং আরও দশজন ষাটোর্ধ মুসল্লি হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মাহফিল ময়দানে মৃত্যুবরণ করেন। তাদের জানাজা শেষে মরদেহ নিজ নিজ স্বজনদের মাধ্যমে দাফনের জন্য এলাকায় পাঠানো হয়েছে।

কে এম শরীয়াতুল্লাহ জানান, সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টায় সমাপনী অধিবেশন ও আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয় তিন দিনব্যাপী ফাল্গুনের বার্ষিক মাহফিল। আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন চরমোনাইয়ের পির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম। আখেরি মোনাজাতে প্রশাসনিক, রাজনৈতিক, সম্মানিত ওলামায়ে কেরাম, মুসল্লিবৃন্দ এবং গণমাধ্যমকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।

ফজরের পরে শুরু করা বয়ানে চরমোনাইয়ের পির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেন, এক শ্রেণির মানুষ আল্লাহর জিকির না করলে তাদের ভালো লাগে না। আর এক শ্রেণির মানুষ আছে যাদের জিকির ও মাহফিল সহ্য হয় না, এরা বড়ই অদ্ভুত। সরকারি দলের কোনো কোনো নেতা বলেন তাদের নাকি মাহফিলের আওয়াজ ভালো লাগে না। এমন লোকদেরকে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন হেদায়েত দান করুন।

তিনি বলেন, প্রত্যেক মুসলমানের ক্বলব পরিষ্কার করতে হবে। আর এই ক্বলব পরিষ্কার করতে হক্কানি ওলামায়ে কেরাম ও পীর মাশায়েখদের স্মরণাপন্ন হতে হবে। ক্বলব পরিষ্কার না করে আখেরাতের জগত বড় কষ্টের হতে পারে।

পির সাহেব চরমোনাই বলেন, যার ভেতরে তাকাব্বুরি থাকবে তারা বেহেস্ত তো দূরের কথা বেহেস্তের ঘ্রাণও পাবে না। তাই আমাদের সকলকে তাকাব্বুরি মুক্ত হতে হবে।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) জুমার পরে উদ্বোধনী বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় তিন দিনের মাহফিলের এবারের আয়োজন। 

সৈয়দ মেহেদী হাসান/আরআই