ইভিএম মেশিন বঙ্গোপসাগরে ফেলে দিতে হবে : আমির খসরু
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, জনগণের ভোট নিশ্চিত করতে হবে। এই আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোনো দিনও মানুষ তার ভোটের অধিকার প্রয়োগ করতে পারবে না। যাদের বয়স ৩০-৩২ বছর হয়ে গেছে অলরেডি তারা গত দুই-তিনটি নির্বাচনে ভোট দিতে পারেনি। এরা কি চুপ করে বসে থাকবে? জেগে উঠতে হবে। সুষ্ঠু ভোট চাইলে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন প্রয়োজন।
সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে খুলনা মহানগর বিএনপি আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। চাল, ডাল, তেল, গ্যাসসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের চরম ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে কেন্দ্রঘোষিত এ কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এস এম শফিকুল আলম মনা। নগরীর কে ডি ঘোষ রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বিজ্ঞাপন
আমির খসরু বলেন, অনেকেই সার্চ কমিটি, নির্বাচন কমিশনের বিষয়ে আমার মতামত জিজ্ঞেস করে। আমি বলি আমার কোনো মতামত নেই। কারণ এই সার্চ কমিটি, নির্বাচন কমিশন হচ্ছে সহযোগী চোর। আসল চোরকে ধরতে পারলে সহযোগী চোরদের নিয়ে মাথা ঘামালে হবে না। আসল চোরকে ধরতে হবে। চোরের দশ দিন, আর গৃহস্তের একদিন। আমি একটা স্লোগান দিয়েছি-‘শেখ হাসিনার বদলে কেয়ারটেকার, ইভিএমের বদলে ব্যালট পেপার’। ইভিএম হচ্ছে চোরের সরঞ্জাম। এই সরঞ্জাম বঙ্গোপসাগরে ফেলে দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের নির্বাচন কমিশনের লোভ দেখাচ্ছে, দাওয়াত দিচ্ছে। কোনো কাজ হবে না। শিয়ালের কাছে কি মুরগি বর্গা দেওয়া যায়? শেয়ালকে মুরগি সামলানোর দায়িত্ব দেওয়া আর এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাওয়া একই কথা। এটা করতে দেব না। অনেকে বলছে বিএনপি ভোটের মাঠে না থাকলে কী হবে? আমরা বলি- ভোটের মাঠে আছি, চোরের মাঠে নেই। ভোটের মাঠে থাকবো। দেশের সমস্ত মানুষ আমাদের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। সবাই বলে একটা কিছু করবেন না? প্রত্যেকটা মানুষের মাঝে বেদনা রয়েছে। শুধু বিএনপি নয়, জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে দেশকে বাঁচাতে হবে।
বিজ্ঞাপন
আমির খসরু বলেন, জনগণের প্রতি এই সরকারের কোনো দায়-দায়িত্ব নেই। জনগনের প্রতি তাদের কোনো জবাবদিহিতা নেই। গ্যাস, তেল, পানি, বিদ্যুৎসহ সব পণ্যের দাম বাড়িয়ে জনগণের পকেট কাটছে। আর সরকারি সিন্ডিকেট মুনাফা লুটে নিয়ে যাচ্ছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির চাপে জনজীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে। কিন্তু জনদুর্ভোগ লাঘবে সরকারের কোনো মাথা ব্যথা নেই।
খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিনের সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, বিএনপির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, সহপ্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামিমুর রহমান শামীম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহারুজ্জামান মোর্তুজা, রবিউল ইসলাম রবি, যুবদলের নির্বাহী সংসদের সিনিয়র সহসভাপতি মোরতাজুল করিম বাদরু। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা রকিবুল ইসলাম বকুল।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমির এজাজ খান, জেলা সদস্য সচিব এস এম মনিরুল হাসান বাপ্পী, মহানগর সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. তারিকুল ইসাম জহির, জেলার সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আবু হোসেন বাবু প্রমুখ।
মোহাম্মদ মিলন/আরএআর