ফাইল ছবি

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় বিষ দিয়ে ১৫টি কুকুর-বিড়াল হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় কীটনাশক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। সর্বশেষ মঙ্গলবার (০১ মার্চ) রাতেও একটি কুকুরের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী।

অভিযুক্ত আব্বাস আলী সোনাতনপুর গ্রামের মৃত মকছের আলীর ছেলে। সে স্থানীয় বাজারের কীটনাশক ব্যবসায়ী।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, কয়েক দিন আগে একটি কুকুর আব্বাস আলীর বাড়িতে থাকা পানির পাত্রে মুখ দেয় এবং মল-মুত্র ত্যাগ করে। এতে আব্বাস আলী ক্ষিপ্ত হয়ে পাউরুটির সঙ্গে বিষ মিশিয়ে আমাদের ১০-১৫টি কুকুর হত্যা করে। তার মধ্যে মা কুকুর ও বাচ্চাসহ একটি বিড়াল রয়েছে। সর্বশেষ মঙ্গলবার রাতেও একটি কুকুর মারা গেছে। এছাড়া বিষাক্ত পাউরুটি খেয়ে বিড়াল, হাঁস-মুরগিও মারা গেছে বলে অভিযোগ করেন তারা।

অভিযুক্ত আব্বাস আলী কুকুর হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে ঢাকা পোস্টকে বলেন, কয়েক দিন আগে আমার বাড়িতে ঢুকে পানির পাত্রে (ঘড়া) একটি কুকুর মুখ দেয়। এছাড়া আমাকে ও ছেলেকে কুকুরে কামড়ে দিয়েছে। এই কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে বিষ দিয়ে কুকুরগুলো মেরে ফেলেছি।

আলমডাঙ্গা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আব্দুল্লাহিল কাফি ঢাকা পোস্টকে বলেন, কুকুর হত্যার বিষয়টি আমি জেনেছি। কোনোভাবেই প্রাণী হত্যা করা যাবে না। আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাচ্ছি। তদন্ত সাপেক্ষে হত্যাকারীকে আইনের আওতায় আনা হবে।

আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রনি আলম নূর ঢাকা পোস্টকে বলেন, কুকুর হত্যার বিষয়টি আমি অবগত আছি। আসলে এটি দুংখজনক ঘটনা। প্রাণী হত্যা অপরাধ। আমরা অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করব। 

আফজালুল হক/এসপি