টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে এক কুকুরের কামড়ে শিশুসহ ১২ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া ওই কুকুরটি স্থানীয় কিছু গরু ও ছাগলকেও কামড়ে আহত করেছে। আহতদের মধ্যে সালমান (৬), আল আমিন (৭), লাবিব (৬), হামেলা বেগম (৫৫), লাইলী বেগম (৬০), শাহজাহান (৬০) ফরিদের (৬০) নাম পাওয়া গেলেও বাকিদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

সোমবার (৭ মার্চ) উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের ভাদুরীচর, সাফলকুড়া ও চর অলোয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। পরে ভাদুরীচর মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে ক্ষুব্ধ লোকজন কুকুরটি পিটিয়ে হত্যা করে।

এদিকে সরকারি হাসপাতালে কুকুর কামড়ানোর ভ্যাকসিন না সরবরাহ থাকায় ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ। আক্রান্ত ব্যক্তিরা স্থানীয় ফার্মেসি থেকে কুকুরের ভ্যাকসিন সংগ্রহ করে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

আহত লাইলী বেগম বলেন, সকালে রাস্তায় হাঁটতে বের হওয়ার সময় কুকুরটি পেছন থেকে কামড়ে চলে যায়। এ রকম তিন গ্রামের বেশ কয়েকজনকে পাগলা কুকুরটি কামড়ে আহত করেছে। হাসপাতালে গেলে এর কোনো ভ্যাকসিন পাওয়া যায়নি।

গোবিন্দাসী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মহির উদ্দিন জানান, বেশ কয়েকদিন ধরে কুকুরটির কারণে গ্রামের মানুষজন আতঙ্কিত। গত দুই দিনে কুকুরটি প্রায় ১২ জনকে কামড়ে আহত করেছে। পাগলা কুকুরটি মেরে ফেলার জন্য মসজিদের মাইকে ঘোষণা করা হয়। পরে ক্ষুব্ধ লোকজন কুকুরটি পিটিয়ে মেরে ফেলে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আল মামুন বলেন, কুকুরের কামড়ে আহত ব্যক্তিরা চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে এসেছে। এদের মধ্যে আল আমিন নামে এক শিশুর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

অভিজিৎ ঘোষ/এমএএস