মায়ের কিডনি প্রতিস্থাপন করেও বাঁচানো গেল না মাদরাসা শিক্ষার্থী রুহুল আমিন রাহুলকে (২০)। দীর্ঘদিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে রোববার (৬ মার্চ) সন্ধায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চির বিদায় নিয়েছেন তিনি। একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে পাগল প্রায় রাহুলের মা-বাবা। এলাকাবাসী ও সহপাঠীদের মাঝে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
 
রাহুল ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার সাফদারপুর বাজারের আসাদুল মণ্ডলের ছেলে ও কোটচাঁদপুর কামিল মাদরাসার ফাজিল ১ম বর্ষের পরীক্ষার্থী। সোমবার (৭ মার্চ) সকালে জানাজার নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়। 

রাহুলের চাচাত ভাই স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু সাঈদ জানান, কয়েক বছর ধরে রাহুল কিডনি রোগে ভুগছিলেন। দেশে চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয় ভারতে। সেখানেও পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে কিডনির সমস্য ধরা পড়ে। চিকিৎসকরা জানান, কিডনি প্রতিস্থাপন ছাড়া সুস্থ্ হবে না তিনি। তাই নিজের সন্তানকে বাঁচাতে তার মা আকলিমা খাতুন সিদ্ধান্ত নেন নিজেই কিডনি দেবেন একমাত্র ছেলেকে। 

পরে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে দেশের একটি হাসপাতালে মায়ের কিডনি ছেলে রাহুলের শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়। এর পর তার কিছুটা উন্নতি হলেও আবার অসুস্থ্ হয়ে পড়েন তিনি। আবারও নেওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। রোববার সন্ধ্যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানেই তার মৃত্যু হয়।

আব্দুল্লাহ আল মামুন/আরআই