সাভারের আশুলিয়ায় মা-বাবার কাছে বেড়াতে এসে জাতীয় নারী জুডো দলের খেলোয়াড় নির্যাতনের ঘটনায় বাড়িওয়ালা শফিকুল ইসলামকে (৪৪) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় দুপুরে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী খেলোয়াড়।

প্রাথমিকভাবে গ্রেপ্তার বাড়িওয়ালা শফিকুল ইসলামের বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে তিনি ওই এলাকায় বাড়ি নির্মাণ করে ভাড়া দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন।

বুধবার (৯ মার্চ) দুপুরে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুব্রত।

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী খেলোয়াড়। মামলার পর আমরা একজনকে গ্রেপ্তার করেছি। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।

নির্যাতনের শিকার সুমাইয়া আক্তার শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী থানার সমুরচুরা গ্রামের মোন্তাজ আলীর মেয়ে। তিনি বাংলাদেশ জাতীয় জুডো দলের খেলোয়াড় এবং ২০১৯ সালে সাউথ এশিয়ান গেমসে স্বর্ণপদক জিতেছিলেন।

প্রসঙ্গত, নারী দিবস মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে আশুলিয়ার জামগড়া মোল্লা বাড়ি এলাকার শফিকুল ইসলামের বাড়িতে নির্যাতনের শিকার হন সুমাইয়া আক্তার।

ভুক্তভোগী সুমাইয়া আক্তার বলেন, আমি এসএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। আমার পরিবার আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় ভাড়া থাকেন। আমি ন্যাশনাল ফেডারেশনে থাকি। দুই-তিন দিন আগে আমি বাসায় এসেছি। গতকাল রাতে আমি বাসায় পড়তে বসি। এ সময় বাড়িওয়ালা এসে বকেয়া বাড়ি ভাড়া চেয়ে গালিসহ চিৎকার-চেঁচামেচি করেন। এ সময় আমার সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হলে বাড়িওয়ালার স্ত্রী আমাকে থাপড় দেন। আমিও পাল্টা থাপ্পড় দিই। পরে তিনি তার স্বামী ও ছেলেকে ডেকে নিয়ে এসে আমার ওপর হামলা চালান। আমাকে এলোপাতাড়ি মারধর করে রক্তাক্ত করে। পরে থানায় বিষয়টি জানিয়ে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে যাই। পুলিশ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে।

এ ব্যাপারে বাড়িওয়ালা শফিকুল বলেন, তাদের কাছে প্রায় ৪০ হাজার টাকা বাসাভাড়া বাকি পড়েছে। তারা তিন মাস আগে বাসা ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেছে। কিন্তু বাসা ছেড়েও দেয় না, টাকাও দেয় না। গত মাসে মাত্র ছয় হাজার টাকা দিয়েছে। তাদের বাসা ছেড়ে দেওয়ার নোটিশ দিতে গেলে ওই মেয়ে আমার স্ত্রীকে উল্টো মেরেছে।

মাহিদুল মাহিদ/এনএ