ভর্তি হতে আসা পুলিশ সদস্যের নাম জিজ্ঞেস করায় নার্সকে মারধর করেছেন তার সহযোগীরা। বুধবার (৯ মার্চ) রাত ১১টা ২৪ মিনিটে এমন ঘটনা ঘটে ব‌রিশালের শের-ই-বাংলা মে‌ডি‌কেল কলেজ হাসপাতালে (শেবাচিম)।

এ হামলার প্রতিবাদে ওই পুলিশ সদস্য ও হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে অর্ধেক সংখ্যাক নার্স পরিচালকের কক্ষে অবস্থান নিয়েছেন নার্সরা। বাকিরা চিকিৎসা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।

শেবাচিম হাসপাতালের নার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, দায়িত্ব পালনকালে শুধু নাম জিজ্ঞেস করায় সিনিয়র স্টাফ নার্স সাইফুল ইসলামকে মারধর করে সহযোগীদের নিয়ে। আহত সাইফুল ইসলামকে ভর্তি করা হয়েছে। আমরা পরিচালক স্যারের কাছে এসেছি বিচারের দাবিতে। আজকের মধ্যে ওই পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করে বিভাগীয় বিচার করতে হবে। যদি ব্যবস্থা নেওয়া না হয়, তাহলে শনিবার থেকে কর্মবিরতি করা হবে।

জানা গে‌ছে, গভীর রা‌তে ব‌রিশাল নগরীর রুপাতলী উকিল বা‌ড়ি সড়‌কের বিপরীতে এক‌টি অ‌্যাম্বু‌লে‌ন্সের ধাক্কায় আহত হন পু‌লি‌শ প‌রিদর্শক সালাউদ্দিন। এ সময় তা‌কে উদ্ধার ক‌রে অন‌্য সদস‌্যরা শের-ই-বাংলা মে‌ডি‌কেল ক‌লেজ হাসপাতা‌লে নি‌য়ে ভ‌র্তি ক‌রেন। হাসপাতা‌লের সি‌নিয়র স্টাফ নার্স সাইফুল ইসলা‌ম ভর্তির প্রক্রিয়ার জন্য নাম জিজ্ঞেস করলে উত্তেজিত হয়ে পড়েন। পরে তাকে মারধর করেন পুলিশ সদস্যরা।

বরিশাল ট্যুরিস্ট পুলিশের পুলিশ সুপার রেজাউল করিম বলেন, সিসি ক্যামেরা ফুটেজ আমরা দেখেছি, বিষয়টি দুঃখজনক। আমরা তাকে প্রত্যাহার করে নিচ্ছি। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

ব‌রিশ‌াল কোতোয়ালি ম‌ডেল থানার প‌রিদর্শক (তদন্ত) লোকমান হো‌সেন ব‌লেন, পু‌রো বিষয়‌টি সমাধা‌নের চেষ্টা চল‌ছে।

শেবাচিম হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ওই পুলিশ সদস্য ফৌজদারি অপরাধ করেছেন। তাকে গ্রেপ্তারের দাবি জানাই। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসেছেন। আমরা নার্সদের সঙ্গে কথা বলছি। বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে।

মেহেদী/এনএ