বরিশালের কাজিরহাট থানার আন্ধারমানিক ইউনিয়নে এক অসহায় দিনমজুরের বসতঘরে হামলা-ভাঙচুর চালিয়ে মাটির সঙ্গে গুঁড়িয়ে দিয়েছে প্রতিপক্ষ। কিন্তু প্রাণ হারানোর ভয়ে হামলাকারী প্রভাবশালীদের বাধা দিতে পারেনি ভুক্তভোগী পরিবার। খবর পেয়ে পুলিশ পৌঁছাবার আগেই ঘটনাস্থল ত্যাগ করে হামলাকারীরা।

বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) সকাল ৯টার দিকে আন্ধারমানিক ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে এই ঘটনা ঘটে।

হামলা-ভাঙচুরের ফলে মাটির সাথে মিশে আছে বসতঘরের মালামাল। ভিটায় চারটি খুঁটি ছাড়া সব কিছুই এলোমেলো। অনেক মালামাল খুঁজে পাচ্ছেন না ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা।

দিনমজুর খলিলুর রহমান মল্লিক বলেন, জমি নিয়ে একই গ্রামের মৃত শাহাবুদ্দিন সিকদারের ছেলে আসাদ সিকদারের সঙ্গে বিরোধ চলছে। এ নিয়ে আমরা আদালতে মামলা করেছি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে হামলা চালায়। বৃহস্পতিবার সকাল ১০ থেকে ১২টা পর্যন্ত শতাধিক মুখশধারী ভাড়াটে সন্ত্রাসী নিয়ে আমার ঘরে হামলা করে। তারা ঘরটি ভেঙে মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়েছে।

আসাদ সিকদারের নেতৃত্বে এই সন্ত্রাসী হামলায় অংশ নেয় একই এলাকার অলি উদ্দিন সিকদার, নাসির সিকদার, আহমদুল্লাহ সিকদার, ইয়ামিন সিকদার, হারুন সিকদার, খোরশেদ সিকদারসহ তাদের সহযোগী এবং ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা। ঘটনার সময় আমি বাড়ি ছিলাম না। আমার মেয়ে শুধু বাড়িতে একা ছিল। খবর পেয়ে বাড়ি পৌঁছতে পৌঁছতে গিয়ে দেখি আমার সব শেষ।

খলিল মল্লিক বলেন, দীর্ঘ ১৮ বছর আমি আমার স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে ওই ঘরে বসবাস করে আসছি। আজ আমার মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকুও ধ্বংস করে দিয়েছে। থানার ভূমিকা রহস্যজনক। সবকিছু গুঁড়িয়ে দিয়ে লুট করে নিয়ে যাওয়ার পরও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমাকে সালিশ-বৈঠকের জন্য কাগজপত্র নিয়ে থানায় যেতে বলেছে।

কাজিরহাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাজ্জাদ রহমান বলেন, আমি বিষয়টি অবগত আছি। সেখানে জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে। হয়তো দখল করা নিয়ে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে। তবে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/আরআই