বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নোয়াখালী-৫ আসনের সংসদ সদস্য ওবায়দুল কাদেরকে নিয়ে ফেসবুক লাইভে মন্তব্য করায় নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীরকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ।

শুক্রবার (১১ মার্চ) সকালে কাদের মির্জা সমর্থিত উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইস্কান্দার হায়দার চৌধুরী বাবুল ও সাধারণ সম্পাদক মো. ইউনুছ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানায়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টায় নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী ফেসবুক লাইভে এসে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সম্পর্কে যে বক্তব্য দিয়েছেন, এই বক্তব্য কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে।

আরও বলা হয়, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। সেইসঙ্গে একরামুল করিম চৌধুরীকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি করছে।

কাদের মির্জা সমর্থিত উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইস্কান্দার হায়দার চৌধুরী বাবুল ঢাকা পোস্টকে প্রেস বিজ্ঞপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নোয়াখালী আওয়ামী রাজনীতির একমাত্র অভিভাবক বীর মুক্তিযোদ্ধা ওবায়দুল কাদের ৭৫ পরবর্তী বাংলাদেশ ছাত্রলীগের হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা। তিনি জননেত্রী শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত ভ্যানগার্ড।  তার বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট, কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সকালে ফেসবুক লাইভে এসে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে ‘ঘৃণিত লোক’ বলে মন্তব্য করেন নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী।

একরামুল করিম চৌধুরী বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের সাহেব, আপনাকে আমি ঘৃণা জানাই। আপনি বিচার করতে জানেন না। আপনার স্ত্রী সম্পর্কে আপনার ভাই কটূক্তি করে, এসবে আমার দুঃখ লাগে। আপনি কন্ট্রোল করতে না পারলে আমাকে এক দিনের জন্য দিন। আপনার ভাইকে পিচঢালা রাস্তার ওপর দিয়ে টেনে হিঁচড়ে আনব। আপনার কারণে আমাদের অনেকের মুখ বন্ধ।’

ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ্য করে একরামুল করিম চৌধুরী আরও বলেন, ‘কাদের ভাই, নোয়াখালী আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে বাঁচান। আপনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অনেক ক্ষতি করে যাচ্ছেন। যে ক্ষতি আওয়ামী লীগ পুষিয়ে নিতে অনেক কষ্ট হবে। নোয়াখালীর কয়েকজন সুবিধাবাদী মানুষের কাছে ছাড়া বাকি বেশির ভাগ মানুষের কাছে আপনি ঘৃণিত লোক।’

হাসিব আল আমিন/এসপি