টানা তিন দিনের সরকারি ছুটিকে কেন্দ্র করে দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিনে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের ঢল নেমেছে। অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে ৯০ শতাংশ হোটেল-মোটেল। প্রতিদিন প্রায় ৭-৮ হাজার পর্যটক দ্বীপের বিভিন্ন হোটেল-মোটেলে অবস্থান করছেন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।  

সেন্টমার্টিনের পর্যটন ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও শবে বরাতকে সামনে রেখে আগামী ১৯ মার্চ পর্যন্ত তিন দিন সরকারি ছুটি। ফলে পরিবার-পরিজন নিয়ে সেন্টমার্টিন ঘুরতে আসতে শুরু করেছেন পর্যটকরা। 

হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ীরা বলছেন, ছুটির দিন উপভোগ করতে আগে থেকে ভ্রমণপিপাসুরা সেন্ট মার্টিনের হোটেল এবং কটেজ বুকিং দিয়ে রেখেছেন। হোটেল-কটেজ পরিপূর্ণ হওয়ায় অনেকেই সৈকতের বালিয়াড়িতেও রাত কাটাচ্ছেন।

সেন্ট মার্টিন ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান আকতার কামাল জানান, টানা ৩ দিনের সরকারি ছুটিতে সেন্ট মার্টিনে অনেক পর্যটক এসেছে। নৌ ভ্রমণ এবং দ্বীপে রাত যাপনের মজাই আলাদা।

সিলেট থেকে আসা এক পর্যটক বলেন, সেন্ট মার্টিন দ্বীপে রাত যাপন করার শখ ছিল দীর্ঘ দিনের। তাই সাপ্তাহিক ছুটির দিন পরিবার নিয়ে প্রবাল দ্বীপে ছুটে এসেছি। 

সেন্ট মার্টিন হোটেল-কটেজ মালিক সমিতির সভাপতি মো. মুজিবুর রহমান বলেন, ভ্রমণপিপাসু পর্যটকরা প্রতি বছর সেন্ট মার্টিনে আসেন। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। দ্বীপের হোটেল-কটেজ মালিক সমিতি সব সময়ই পর্যটকদের সর্বোচ্চ সেবা দিতে বদ্ধপরিকর।

সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান জানান, ৭ হাজারেরও বেশি পর্যটক দ্বীপে এসেছেন। ছুটির দিন স্মৃতিময় করতে এসব পর্যটক প্রবাল দ্বীপে অবস্থান করছেন। অনেক পর্যটক হোটেল-কটেজে জায়গা না পেয়ে ইতোমধ্যে তাঁবু ভাড়া নিয়েছেন। তারা নিকটজনদের নিয়ে সৈকতের বালিয়াড়িতে রাত কাটাবেন।

টেকনাফ ট্যুরিস্ট পুলিশের উপপরিদর্শক মো. আশরাফুল ইসলাম জানান, পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা দিতে প্রতিদিন পুলিশ কাজ করছে। বিশেষ দিন পর্যটকরা যেন উদযাপন করতে পারেন সেজন্য তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত আছে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পারভেজ চৌধুরী জানান, সেন্ট মার্টিনে পর্যটকরা যাতে নির্বিঘ্নে অবস্থান করতে পারেন, সেজন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দ্বীপে অবস্থানকারী পর্যটকদের সুবিধার্থে প্রশাসনের বাড়তি নজরদারির পাশাপাশি সেখানকার জনপ্রতিনিধিদেরও সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া আছে।

সাইদুল ফরহাদ/এসপি