ভোলার লালমোহন উপজেলার বদরপুর ইউনিয়ন নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের পরাজিত করে নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী করতে প্রভাব বিস্তারে অভিযোগ উঠেছে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ গিয়াস উদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে।

সোমবার (২১ মার্চ) ১২টায় বদরপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের দেবীর চর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কেন্দ্রে এই অভিযোগ করেন আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আসাদ উল্যাহ মেকার।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, আচরণবিধি লঙ্ঘন করে লালমোহন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ গিয়াস উদ্দিন আহম্মেদ ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোটারদের নৌকা মার্কায় ভোট দিতে বাধ্য করছেন। ভোটকেন্দ্রে থাকা আমার এজেন্টদের নানা রকম চাপ সৃষ্টি করছেন। এমনকি পুলিশ প্রশাসনকে তার সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্যও বলে বেড়াচ্ছেন।

তিনি আরও বলেন, তার ইন্ধনে বর্তমান চেয়ারম্যান ও নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ফরিদুল হক তালুকদার পরাজয়ের ভয়ে তার ভাতিজা ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ওমর ফারুক তালুকদারকে দিয়ে হাইকোর্টে নির্বাচন বন্ধের জন্য মামলা করেন।

উপজেলা চেয়ারম্যান প্রভাব বিস্তার করে কেন্দ্র দখল ও জাল ভোট দিয়ে নির্বাচনী ফলাফল নিজেদের পক্ষে নেওয়ার জন্য অপতৎপরতা চালাচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী।

অভিযোগ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন বলেন, আমি এই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান। পাশাপাশি আমার এলাকার ভোটকেন্দ্র। তাই ভোট দিয়ে দু-একটি কেন্দ্র ঘুরে ঘুরে দেখতেছি। অন্য কিছু নয়। আমিও চাই ভোট সুস্থ ও শান্তিপূর্ণভাবে হোক।

২ নম্বর ওয়ার্ড দেবীর চর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আব্দুল মাজিদ শাহ বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী আমাদের কাছে অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি আমরা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে অবগত করেছি।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সৈয়দ শফিকুর হক জানান, উপজেলা চেয়ারম্যানের প্রভাব বিস্তারের বিষয়টি স্বতন্ত্র প্রার্থী ও প্রিসাইডিং কর্মকর্তার কাছে শুনেছি। এ বিষয়ে তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে পরর্বতী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ইমতিয়াজুর রহমান/এনএ