নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের শের-ই-বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে ছাত্রীদের বোরকা পরা নিষিদ্ধ করায় প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগ দাবি করেছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা। সোমবার (২১ মার্চ) বেলা ১২টার দিকে উপজেলার সেবারহাট বাজারে অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়। 

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগ দাবি করে বলেন, ৯০ শতাংশ মুসলিমের দেশে ইসলাম বিরোধী কোনো সিদ্বান্ত আমরা মেনে নেব না। যদি প্রধান শিক্ষক পদত্যাগ না করেন, তাহলে আগামী দিনে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে জানান বক্তারা।

অনেক সময় মেয়েদের বোরকা পরে ছেলেরা আসে, অথবা যে স্টুডেন্ট সে না এসে অন্য কেউ আসে। আবার জামায়াত শিবিরের কিছু কার্যক্রমে বোরকা গায়ে দিয়ে চিঠি আদান-প্রদান হয়।

শের-ই-বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি মো. নুরুল হুদা ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি, এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। এ নিয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শের-ই বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মোজাম্মেল হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, “বোরকা নিষিদ্ধ করা হয়নি। গত ৯ মার্চ এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘ছাত্রীরা শ্রেণিকক্ষে বোরকা খুলে ক্লাস করবে এবং ফেরার পথে বোরকা পরে বাড়ি ফিরবে।’ কিন্তু ১০ মার্চ বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সিন্ধান্ত মোতাবেক ওই আদেশ বাতিল করা হয়। এখন তৃতীয় কোনো পক্ষের ইন্ধনে এ মানববন্ধন করা হয়েছে।”  

সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী বলেন, “বোরকা নিষিদ্ধ’ বিষয়টি এরকম নয়। অনেক সময় মেয়েদের বোরকা পরে ছেলেরা আসে, অথবা যে স্টুডেন্ট সে না এসে অন্য কেউ আসে। আবার জামায়াত শিবিরের কিছু কার্যক্রমে বোরকা গায়ে দিয়ে চিঠি আদান-প্রদান হয়। এজন্য বলা হয়েছিল বোরকা পরে আসলে সমস্যা নেই। তবে যখন ক্লাস করবে তখন যেন মুখটা খোলা থাকে। স্কুল শেষে যাওয়ার সময় আবার বোরকা পরে যাবে। এ রকম একটা সিন্ধান্ত প্রাথমিকভাবে নিয়েছিল তারা। পরে এটি আবার স্থগিত করা হয়েছে।” 

হাসিব আল আমিন/আরআই/জেএস