চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার মামলায় শাকিল (২৩) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২২ মার্চ) রাতে সদর উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের বোকাপাড়া গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। নাচোল থানা পুলিশের একটি দল অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করে। 

গ্রেপ্তার শাকিল নাচোল মধ্যবাজার মহল্লার মীরজা উল আলীর ছেলে।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ৯ মার্চ সকাল ৯টার দিকে নাচোল পৌরসভার মধ্যবাজার এলাকায় ধর্ষণচেষ্টার ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত মাছ ব্যবসায়ী শাকিল পলাতক ছিলেন। এনিয়ে ঘটনার দিনই এজাহার দায়ের করেন ১০ বছর বয়সী শিশুর দাদি। এরপর থেকেই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করে নাচোল থানা পুলিশ। 

ভুক্তভোগী শিশুর দাদি ছবিরন বেগম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি উপজেলা পরিষদে আয়া পদে চাকরি করি। ঘটনার দিন সকাল ৯টার দিকে আমার কাছ থেকে বাজার নিয়ে আসার জন্য নাতিন বাড়ি থেকে বের হয়। রাস্তা দিয়ে বাজারে যাওয়ার সময় বাড়ির পাশে থাকা একই এলাকার মীরজা উল আলীর ছেলে শাকিল (২৩) তাকে মুখ চেপে ধরে নিয়ে যায়। শাকিল তার রুমে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। 

তিনি আরও বলেন, নাতিনের শরীরের কাপড় খুলে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে শাকিল। এ সময় নাতিন চিৎকার করলে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসলে পালিয়ে যায় শাকিল। এরপর স্থানীয়রা আমাকে খবর দেয় এবং নাতিনকে উদ্বার করে। পরে কিছুক্ষণ পরই নাচোল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। 

ছবিরন বেগম বলেন, ঘটনার দিন সন্ধ্যার পর নাতিন অসুস্থবোধ করলে তাকে নাচোল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করি। পরে রাতেই সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। কিন্তু আর্থিক অবস্থা ভালো না থাকায় বাসায় নিয়ে চলে এসেছি। আমরা এর কঠোর শাস্তি চাই। এমন বিচার চাই, যাতে কেউ কোনো দিন আর এমন কাজ করতে সাহস না পায়। তাকে আটক করায় ভীষণ খুশি হয়েছে। 

এ বিষয়ে নাচোল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিন্টু রহমান মুঠোফোনে ঢাকা পোস্টকে বলেন, মামলা হওয়ার পর থেকেই পুলিশ শাকিলকে গ্রেপ্তার করতে অভিযান পরিচালনা করে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় গতরাতে (মঙ্গলবার) নাচোল থানা পুলিশ শাকিলকে সদর উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের বোকাপাড়া থেকে আটক করেছে। আটকের পর তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। 

মো. জাহাঙ্গীর আলম/আরআই