নিহত মো. রকি

নারায়ণগঞ্জের বন্দরে গণপিটুনিতে মো. রকি (২০) নামে গণধর্ষণ মামলার এক আসামির মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (২৩ মার্চ) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।

নিহত মো. রকি বন্দর উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের চিড়ইপাড়া কলোনীর মৃত শাহাজউদ্দিনের ছেলে। 

জানা গেছে, গত শুক্রবার (১৮ মার্চ) রাতে  রকি ও তার চাচাতো ভাই আলমগীর মিলে একই এলাকার এক গার্মেন্টস শ্রমিককে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় রকি ও আলমগীরকে আসামি করে বন্দর থানায় মামলা করেন ওই নারী শ্রমিক। তার পরিবারের লোকজন গতকাল মঙ্গলবার (২২ মার্চ) বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল থেকে দুই আসামিকে ধরে এনে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। পরে পুলিশ রকিকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। বুধবার সকালে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। 

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে জানিয়ে হাইওয়ে পুলিশ মরদেহ হাসপাতালে রেখে গেছে। হাসপাতালে আনার পর ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।

এদিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রকির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে বিচার দাবিতে দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের লাঙ্গলবন্দ এলাকা অবরোধ করে রাখে এলাকাবাসী। এতে মহাসড়কের দুই পাশে ১২ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে বন্দর থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা ঘটনাস্থালে এসে রকির হত্যাকারীদের বিচারের আওতায় আনার আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেয় এলাকাবাসী।

ওসি দীপক চন্দ্র সাহা জানান, গণধর্ষণ মামলার দুই আসামি রকি ও আলমগীরকে বাদীর পরিবারের লোকজন পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। এ সময় আসামি রকিকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বুধবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রকির মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় বাদীর দুই ভাই মো. শহিদুল ইসলাম ও সাইফুল ইসলামকে আটক করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।

রাজু আহমেদ/আরএআর