ফরিদপুরের ভাঙ্গায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মাইকে ঘোষণা দিয়ে দুই গ্রামবাসী সংঘর্ষে জড়িয়েছে। বুধবার (২৩ মার্চ) সকাল ৮টার দিকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। গতকাল লাইটার চাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই যুবকের হাতাহাতির সূত্র ধরেই সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে আজ। শুরুতে তা ঘারুয়া গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও পরে ওই গ্রামের একাংশের সঙ্গে পাশের চৌকিঘাটা গ্রামের লোকজন যোগ দেয়।

দেড় ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়। এ সময় তিনটি বাড়ি ও দুটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। উত্তেজনা এড়াতে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঘারুয়া ও চৌকিঘাটা গ্রামের দুটি পক্ষের মধ্যে কিছুদিন ধরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। গতকাল (মঙ্গলবার) দুপুর ১২টার দিকে ঘারুয়া গ্রামের রমজান মাতুব্বরের ছেলে সজিব মাতুব্বরের (১৮) সঙ্গে একই গ্রামের চুন্নু মাতুব্বরের ছেলে ইমন মাতুব্বরের (১৯) হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে রমজান মাতুব্বর ছেলের পক্ষ নিয়ে ইমন মাতুব্বরকে মারধর করেন। 

স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ বিষয়টি সালিস বৈঠকে সমাধান করতে চায়। কিন্তু আজ (বুধবার) সকাল ৮টার দিকে দুই পক্ষের শত শত লোকজন ঘারুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে জড়ো হয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় ঘারুয়া বাজারের পাশের মাজেদ ফকির, কাদের মুন্সী, সৈয়দ আলী মুন্সীর বাড়ি ও ঘারুয়া বাজারের ওবায়দুর মোল্লা, ফরহাদ মিয়ার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। দেড় ঘণ্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে দুই পক্ষের কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়।

ঘারুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনসুর আলী মুনশী বলেন, সিগারেটের লাইটার চাওয়াকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের জন্য মাইকিং করে লোক জড়ো করা হয়।

ঘারুয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সফিউদ্দিন মোল্লা বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে সালিস বৈঠক করে এ সংকট দ্রুত মিটিয়ে ফেলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) এ সালিস বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ভাঙ্গা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, দুই পক্ষের সংঘর্ষে বাড়ি-ঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষের সময় দুই পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

জহির হোসেন/আরআই