স্বামীর দুই স্ত্রী হওয়ায় অভাব-অনটনে সংসার কাটে নাজিরন বেগমের। তাই বাধ্য হয়েই অন্যের বাড়িতে কাজ করে, ভিক্ষা করে সংসার চালাতে হয়। এক ছেলেকে নিয়ে সংসার চলে তার। এভাবেই জমি কেনার জন্য তিলে তিলে জমা করেছেন প্রায় এক লাখ টাকা। কিন্তু অগ্নিদুর্ঘটনায় শত কষ্টে করে জমানো টাকা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে নাজিরন বেগমের। 

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর ইউনিয়নের দারাবাজ-গাবতলা গ্রামের আরিফ হোসেনের স্ত্রী নাজিরন বেগম। বুধবার (২৩ মার্চ) রাত ৮টার দিকে বৈদ্যুতিক শটসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হলে তার ঘরের আসবাব পুড়ে যায়।

কেঁদে কেঁদে নাজিরন বেগম বলেন, আমি পরের বাড়িতে চেয়ে চেয়ে হাত পেতে নিয়ে আসি। এ ছাড়া অন্যের বাড়িতে কাজ করে জমি কিনার জন্য এক লাখ টাকা জোগাড় করেছিলাম। কিন্তু সব আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেল। এখন আমি নিঃস্ব। শত কষ্টের উপার্জিত টাকা ও বাড়ির মালামাল সব শেষ হয়ে গেল। আমি এখন কীভাবে চলব?

নাজিরনের স্বামী আরিফ হোসেন বলেন, আগুন লাগার সময় আমি বাড়ির বাইরে ছিলাম। আমার স্ত্রী নাজিরন বেগম তার মায়ের বাড়িতে ছিল। রাত ৮টার দিকে হঠাৎ শুনি বাড়িতে আগুন লেগেছে। বাড়িতে এসে ১৫ থেকে ২০ মিনিটের মধ্যে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ফায়ার সার্ভিস আসার আগেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে প্রায় চার লাখ টাকার মতো মালামালের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

স্থানীয় ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাত ৮টার দিকে হঠাৎ বাড়িতে আগুন লাগে। এ সময় স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে তারা উপস্থিত হয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে তার আগেই বাড়ির ৪টি ঘর আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে জমি কেনা বাবদ বাড়িতে থাকা ১ লাখ টাকা, ২টি ছাগল, ২০টি মুরগি, ২ মণ চাল, কাপড়সহ বাড়ির অনেক আসবাব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

রহনপুর ফায়ার সার্ভিসের সাব স্টেশন মাস্টার আকবর আলী বলেন, আগুন লাগার পরে স্থানীয়রা ৭টা ৫৫ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসে আমাদের খবর দেয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শটসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।

মো. জাহাঙ্গীর আলম/এনএ