মানুষের আহাজারি বোঝার ক্ষমতা সরকার হারিয়ে ফেলেছে
সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় বলেই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দ্রব্যমূল্যের লাগানহীন মূল্যবৃদ্ধি করছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহীর কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক (রংপুর বিভাগ) আব্দুল খালেক।
তিনি বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধিতে দেশের অসহায়-সুবিধাবঞ্চিত ও নিম্নআয়ের মানুষেরা সবচেয়ে বেশি কষ্টে আছেন। কিন্তু ক্ষমতাসীন সরকার মানুষের দুঃখ-কষ্ট দেখতে পাচ্ছেন না। মানুষের ক্ষুধার আহাজারি বোঝার ক্ষমতা সরকার হারিয়ে ফেলেছে। কারণ এই সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার নয়। তারা উন্নয়নের নামে সিন্ডিকেট করে নিজেদের ভাগ্যের উন্নয়নে ব্যস্ত। সবকিছুর পেছনে সরকারের লোকেই সিন্ডিকেট করছে।
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) দুপুরে রংপুর মহানগর বিএনপি আয়োজিত প্রতিকী অনশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের ঊর্ধ্বগতি ও সর্বগ্রাসী দুর্নীতির প্রতিবাদে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে প্রতিকী অনশন পালন করে দলটি।
বিজ্ঞাপন
অনশনে আরও বক্তব্য রাখেন- মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম মিজু, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল সালাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজাদ বসুনিয়া, সহসভাপতি রুহুল আমিন বাবলু, মহানগর যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক জহির আলম নয়ন, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি নুর হাসান সুমন, সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া ইসলাম জিম, মহানগর কৃষকদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহামুদুল হাসান, সিনিয়ন যুগ্ম আহ্বায়ক ফিরোজ রহমান প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, সর্বগ্রাসী দুর্নীতি আর নৈরাজ্যে দেশের বারোটা বেজে গেছে। এই অবস্থার জন্য দায়ী আওয়ামী লীগ সরকার। ভোট, ভাতের অধিকার হরণ করা সরকার এখন সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দ্রব্যমূল্য বাড়িয়েছে। মানুষ যাতে না খেয়ে মরে, সেই ষড়যন্ত্র চলছে। মানুষ বাঁচতে চায়, সরকারের সিন্ডিকেটের কবল থেকে মুক্তি চায়। এজন্য গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। অচিরেই জনগণের মুক্তির জন্য সেই আন্দোলনের ডাক আসবে।
রংপুর নগরীর বিএনপি কার্যালয়স্থ গ্রান্ড হোটেল মোড়ে সকাল ১০টায় প্রতিকী অনশন শুরু হয় বিকেল ৩টায় শেষ হয়। এতে মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীরা ছাড়াও বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতাকর্মী ও অঙ্গ সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
ফরহাদুজ্জামান ফারুক/আরআই